এইদিন ওয়েবডেস্ক,যোধপুর(রাজস্থান),৩১ অক্টোবর : রক্তের সম্পর্ক হোক না হোক,ভাই-বোনের সম্পর্কের বন্ধন সর্বদা বিশ্বাসের উপর টিকে থাকে । বোনের দায়ে বিপদে বুক চিতিয়ে লড়াই করা একজন ভাইয়ের সর্বদা আদর্শ হওয়া উচিত । কিন্তু রাজস্থানের যোধপুরের গঙ্গানা গ্রামের হিন্দু মহিলা অনিতা চৌধুরীর (৫২) সঙ্গে তার পাতানো ‘মুসলিম ভাই’ গুলামউদ্দিন ওরফে গুলমহম্মদ(৪৮)যে নৃশংস বর্বরোচিত ঘটনা ঘটিয়েছে তাতে যে কোনো মহিলাই এরপর অন্য পুরুষকে ভাই পাতানোর আগে শতবার ভাববে । গুলামউদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যরা মিলে অনিতাকে নৃশংসভাবে খুন করেছে । শুধু নৃশংসভাবে খুন করাই নয়,ওই হিন্দু মহিলার হাত, পা ও ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন অংশ গ্রাইন্ডার দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করে কেটে মাটিতে পুঁতে দিয়েছিল গুলামউদ্দিনরা । খুনের আগে জেসিবি দিয়ে গর্ত খনন করা হয়েছিল দেহাংশ পুঁতে ফেলার জন্য ।
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে,অনিতার বিউটি পার্লারের পাশে একটি দোকান চালাত গুলামউদ্দিন । অনিতা তাকে তার ভাই মনে করতেন। গত ২৭ অক্টোবর থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান অনিতাদেবী । পুলিশ তার খোঁজে সিসিটিভি খতিয়ে দেখতে গেলে তার শেষ অবস্থান গোলামউদ্দিনের বাড়ির কাছেই শেষ হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করে গোলামউদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা । গোলামউদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা জানায়, বাড়ির সামনের গর্তে একটি লাশ পড়ে আছে। এরপর বাড়ির সামনে খননকালে ১০ ফুট গভীর গর্ত থেকে অনিতা চৌধুরীর টুকরো টুকরো দেহাংশ পাওয়া যায়। হাত, পা, মাথাসহ মোট ৬ টি টুকরো করা হয় ওই হিন্দু মহিলার । এই ঘটনায় গোলামউদ্দিনের স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে গোলামউদ্দিন চম্পট দিয়েছে । তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। ওই মহিলার ছেলে জানিয়েছেন, অনিতা গোলামউদ্দিনকে ভাইয়ের মতো মনে করতেন এবং তার পরিবারের সাথে কয়েক দশক ধরে গোলামউদ্দিনের সম্পর্ক ছিল।।