এইদিন ওয়েবডেস্ক,বর্ধমান,৩১ অক্টোবর : হিন্দু প্রেমিককে বিয়ে করে চরম হুমকির মুখে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার এক মুসলিম তরুণী । বর্তমানে তারা এলাকা ছাড়া বলে জানা গেছে ৷ সুলতানা পারভীন সাথী নামে ওই তরুণী ফেসবুক লাইভে এসে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি তথা নিজের দাদাসহ সমগ্র পরিবার এবং পুলিশের বিরুদ্ধে মারাত্মক সব অভিযোগ তুলেছেন । তরুণীর অভিযোগ যে পুলিশকে কাজে লাগিয়ে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনদেরকে হেনস্তা করছেন তার দাদা । শুধু তাই নয়, তার স্বামীকে খুনের হুমকির পাশাপাশি অবিবাহিতা ননদকে জোর করে মুসলিম যুবকের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি ।
কোন এক গোপন জায়গা থেকে ফেসবুক লাইভে এসে সমগ্র ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন সুলতানা পারভীন সাথী । ১৫ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা গেছে,’আমি সুলতানা পারভীন সাথী বলছি। পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসি থানার অন্তর্গত আসকরণ গ্রামে আমার বাড়ি । গলসি দু’নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শেখ সাবীর উদ্দিন জয়ের আমি বোন । শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের আমি মেয়ে । চার বছর ধরে একটা হিন্দু ছেলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক রয়েছে । সম্পর্ক শুরু হওয়ার পরেই বাড়িতে আমার মা জানতে পারে যে একটা হিন্দু ছেলের সাথে আমার সম্পর্ক রয়েছে। আর সেই ছেলেটা হচ্ছে প্রীতম নন্দী । বাড়ি কুড়মুন গ্রামে । তারপরে এই সম্পর্ক ছেড়ে দেওয়ার জন্য আমার মা আমাকে অনেক বকাঝকা করে। মাঝেমধ্যে এনিয়ে ঝামেলা হতে থাকে বাড়িতে। আমাদের এই সম্পর্কের জন্য ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে একটা খুব বড় রকম ঝামেলা হয় । আমার মা আত্মহত্যার কথা বলে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করে ।’
তরুণী বলেন, ‘সেই সময় এসব কথা আমার কাকার ছেলে শেখ শাহীনকে বলি । সে আমার সমবয়সী এবং বন্ধুর মতো । তাকে আমি সব কথা শেয়ার করি । এমনকি সে প্রীতমের ক্লাসমেট এবং বন্ধু । আমি ওর কাছে জানতে চেয়েছিলাম যে আমি এখন কি করবো ? সে বলেছিল তোকে কিছু করতে হবে না যেমন চলছে চলুক আমি তোর পাশে আছি, আমি তোকে সাপোর্ট করব । কিন্তু এত কথা বলেও সে আমার দাদা শেখ সাবির উদ্দিন আহমদকে সব কথা বলে দেয় । তখন আমার দাদা খুবই রাগারাগি করে এবং আমায় বকাঝকা করে বলে এই সম্পর্ক তোকে ছাড়তেই হবে । আমি বলেছিলাম পারবো না । তখন দাদা বলেছিল যে তোকে যেভাবে হোক ছাড়তে হবে তা না হলে আমি ছেলেটার অবস্থা খারাপ করে দেবো । এসব কথা আমি প্রীতমকে সব জানিয়েছিলাম।’
তরুণী বলেছেন,’আমার কাছে এসব কথা শুনে ২০২৩ সালে ৩১ ডিসেম্বর রাত্রে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে প্রীতম । ওকে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় । আমি তখন ক্লাস টুয়েলভে হোস্টেলে থেকে পড়তাম । ২০২৪ সালের ৩ রা জানুয়ারি আমার হোস্টেলে যাওয়ার ডেট ছিল । যাইহোক উপরওয়ালার ইচ্ছায় ও ঠিকভাবে ফিরে এসেছে। ওইদিন রাত্রিবেলায় হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ করে বাড়ি আসে প্রীতম । তারপরে আমার সাথে দেখা করে। পরে আমি হোস্টেলে চলে যাই এবং সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল ।’
তরুণী বলেন, ‘প্রীতমের আত্মহত্যার কথা আমি আমার বাড়িতে জানাই । তখন আমায় বাড়ির লোক বলে ও মরে যাক, চলে যাক তবুও তুই ফিরে দেখবি না, তোর কি এসে যায় ? এইরকম বলে আমায় । উত্তরে আমি কিছু বলিনি চুপ করে যাই । তারপরে যেমন চলছে চলতে থাকে । কিন্তু ৩-৪ মাস আগে খুব বড় একটা ঝামেলা হয় । সেই সময় আমার দাদা হুমকি দেয় ওর বাড়িকে শেষ করে দেব, ওকে শেষ করে দেবো, এইরকম ব্ল্যাকমেল আমাকে করতে থাকে । এসব কথা শুনে প্রীতম ফের বড় রকম অ্যাক্সিডেন্ট করে আত্মহত্যা করতে যায় । এখনো পর্যন্ত ও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেনি । সেগুলো আমার বাড়িতে শোনার পরে বলে ‘চুলোয় যাক, তুই তবুও ফিরে দেখবি না’ ।’
তরুণী বলেছেন,’তবুও চলছিল….কিন্তু সম্প্রতি মাস খানেক আগে যখন বড় রকম একটা ঝামেলা হল, মা আমাকে চরম ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করল ।বলেছিল তুই যদি আর কোনরকম ওর সঙ্গে যোগাযোগ রাখিস তাহলে আমি এক্ষুনি আত্মহত্যা করব । সেই সময় দাদা এবং মা দুজনাই বলেছিল যে আমার বিয়ে দিয়ে দেবে এবং আমাকে আর পড়াশোনা করাবে না । আমাকে বাইরে তো যেতে দিচ্ছিলই না এমনকি আমার ফোনটা কেড়ে নিয়েছিল।’
তরুণী বলেন, ‘আমার দাদা আমায় বলে ওর ফ্যামিলিকে শেষ করে দেবো । ওকে শেষ করে দেব । তখন আমি ওই সমস্ত অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কোনরকম একটা সুযোগ পেয়ে আমি প্রীতমকে ফোন করি৷ বাড়ির সমস্ত ঝামেলার কথা ওকে জানিয়ে বলি যেভাবেই হোক আমাকে এখুনি নিয়ে চলো,আমি আর পারছি না, আমি এখনই তোমাকে বিয়ে করে তোমার সাথে থাকতে চাই । এই বাড়িতে আর থাকতে চাই না । ও তখন বলে যে আমার এখনো বিয়ের বয়স হয়নি আমি কিভাবে যাব । তখন আমি বলেছিলাম আমি আর পারছি না, বয়স হতে এখনো দেরি আছে । ওর আমার একই বয়স কিন্তু আমার ১৮ পেরিয়ে গেছে আমার এখন ১৯ বছর বয়স । তবুও আমি বলেছিলাম যাই হোক না কেন আমাকে এখনই নিয়ে চলো আমি আর পারছি না । কিছুক্ষণের মধ্যে যেন আমাদের চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ।’
এরপর তরুনী বলতে শুরু করেন, ‘শেষ পর্যন্ত অক্টোবর মাসের ১৯ তারিখে ঠিক হয় যে আমরা বিকালে চলে যাব । ওর বাড়ির লোককে জানায়নি, আমিও আমার বাড়িতে জানাইনি । ওইদিন বিকেল বেলা আমি আমার মাকে বললাম আমি আমার এক বন্ধুর বাড়ি যাবো, ভালো লাগছে না । সেই সুযোগে আমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছি । তারপরে রাত্রি নটার সময় আমি দাদাকে ফোন করে জানাই যে আমি প্রীতমের সাথে চলে এসেছি… ওকে বিয়ে করেছি…ওর সাথে আমি থাকতে চাই । এটুকু কথা বলেই আমি ফোন কেটে দিই । তার ঠিক ১০-১৫ মিনিট পর আমি ফের কল করে জানাই যে আমি ওর সাথে থাকতে চাই । আমি নিজের ইচ্ছায় ওর সাথে বিয়ে করেছি, নিজের ইচ্ছায় চলে এসেছি,কেউ আমাকে জোর জবরদস্তি করেনি, এর জন্য প্রীতম বা প্রীতমের ফ্যামিলি দায়ী নয় । তাই ওর ফ্যামিলির উপর কোনরকম যেন নির্যাতন না হয় । কোনরকম মামলা যেন না হয় । তখন আমার ভাই শাহিন বলে যে তুই কোথায় আছিস আমায় বল। ইচ্ছা না থাকলেও আমি বলেছিলাম যে আমি দীঘায় আছি। এইটুকু বলে আমি ফোনটা কেটে দি । তারপরে আমি প্রীতমের দিদি প্রেরণা নন্দীকে আমি ফোন করে বলি যে আমরা বিয়ে করেছি, আমাদের সাথে এখন কেউ যোগাযোগ করবে না, আমরা এখন বাড়ি ফিরব না ।’
তরুণী বলেন, ‘তারপর থেকে কারো সাথে কোন যোগাযোগ ছিল না । তার ঠিক ৫-৬ দিন পর আমি প্রিতমের মাকে ফোন করি । মানে ২৫ শে অক্টোবর শুক্রবার সকালে ফোন করি । কিন্তু ওর মা ফোনটা ধরেই কাঁদতে লাগে । বলে কোথায় আছিস সেটুকু বল । আর আমরা এখানে থাকতে পারছি না, খুব অত্যাচার করছে । শুনলাম আমার বাড়ি থেকে অপহরণের মামলা দায়ের করেছে । তাতে আমার বাড়ি অভিযোগ করেছে যে প্রীতম এবং প্রিতমের বাবা প্রভাস নন্দী, সেদিন আমি যখন টিউশন পড়তে গিয়েছিলাম তারা নাকি আমাকে বেহুঁশ করে অপহরণ করেছে । আর আমার নাকি চোখের সমস্যা আছে। এভাবে মিথ্যে কিডন্যাপিং কেস দেয়। কিন্তু যেদিন আমি বাড়ি থেকে বেরিয়েছি সেদিন রাত্রে সর্ব প্রথমে আমি আমার বাড়িতে ফোন করে জানিয়েছিলাম যে আমি নিজের ইচ্ছায় প্রীতমের সঙ্গে চলে এসেছি এবং তাকে বিয়ে করেছি । তারপরে কিভাবে এই মামলা করতে পারে ? আমি নিজের ইচ্ছায় এসেছি, নিজেকে বাঁচানোর জন্য এসেছি, ও ভালোবাসে বলে ও আমার সঙ্গে এসেছে । তারপরও কিভাবে এই কেস দেয় ?’
তরুণী বলেন, ‘পুলিশ জানিয়ে ছিল ২৫ তারিখের মধ্যেই যেন আমার বাপের বাড়ি জানায় যে তাদের মেয়ে নিরাপদ আছে। সেই কথাটা শুনে তখনই আমি আমার বাড়িতে ফোন করি আমি নিরাপদ আছি। ২৫ শে নভেম্বর শুক্রবার সকাল ছটার সময় আমি ফোন করি। আমার মা ফোন ধরে । মা জানতে চায় আমি কোথায় আছি । আমাকে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে বলে । মা সর্বদাই সেই একই কথা বলে আসছে । তখন আমি বলি আমি ভালো আছি, আমি নিরাপদ, আমি ওর সাথে থাকতে চাই এবং ওর সাথেই আছি,আমি বাড়ি যেতে চাই না । আমি মামলার কথা তুলি এবং জিজ্ঞেস করি কেন অপহরণের মামলা করেছ ? আমি যেদিন এসেছি সেদিন রাত্রেই তো জানিয়ে দিয়েছি যে আমি প্রীতমের কাছে এসেছি,নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেছি, নিজের ইচ্ছায় চলে এসেছি, তারপরও কেন অপহরণের মামলা করবে ? তখন মা বলে আমি কিছু জানি না যা করেছি তোর দাদা । এতকিছু ঘটনা ঘটে গেল, মামলা আদালতে চলে গেল আর মা জানবে না? কেন মিথ্যা সাজাচ্ছে ? তখন আমি বলি এই মামলা যেন আজই তুলে নেওয়া হয় এবং এই অত্যাচার যেন বন্ধ করা হয়।’
তরুণীর অভিযোগ, দিনের পর দিন প্রীতমের বাড়িতে যাচ্ছে, ওর দিদি আইবুড়ো মেয়ে তার ওপরে অত্যাচার করছে । রাত দুপুরে ফোন করে বিরক্ত করছে । যেটা আমার দাদা করাচ্ছে । বলছি এখনই তাকে তুলে নিয়ে যাবে। আর দিদি বাইরে একটা চাকরি করে । কি করে সে নিরাপদ থাকবে? ওদের কি দোষ ? যা করেছি তা আমরা করেছি । এসব শুনে আমি বাড়িতে ফোন করে বলি, মামলা যেন তুলে নেওয়া হয়, প্রিতমের বাড়িতে যেন কোন অত্যাচার না হয়, প্রীতমের যেন কোন ক্ষয়ক্ষতি না হয় । বলেছিলাম এই মামলা তুলতে হবে তা না হলে দুজনে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হব । আর আত্মহত্যা করলে দায়ী হবে আমার পরিবার ।’
তরুণী বলেন, ‘একমাস আগে যখন ঝামেলা হয়, আমার দাদা তখন আমার উপর অত্যাচার করে, মারধর করে, এমনকি আমার শ্লীলতাহানির চেষ্টাও করে । সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই তো আমি এই কাজটা করেছি । তখন তো বলেছিল আমি যাব না কিন্তু আমি জোর জবরদস্তি করে এসেছি । ও এসেছিল যেহেতু আমাকে ভালবাসে,বাধ্য হয়েছে । আর আমি বাড়িতে থাকতে পারছিলাম না ।’
পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ওই তরুনী । তিনি বলেন, দিনের পর দিন যে ওর পরিবারকে থানাতে ডাকছে, তারপরে কোর্টে যেতে হচ্ছে, কেন অত হ্যারাসমেন্ট করবে ? ওরা তো নির্দোষ কেন এত অত্যাচার হবে ওদের উপর ? ওরা তো কিছুই জানেনা । আমার দাদা ব্লক প্রেসিডেন্ট, একটা পদে রয়েছে, তার জন্যই কি পুলিশ তাদের সাথে থাকবে ? প্রীতমের পরিবার সাধারণ মানুষ বলে কি তাদের উপর অত্যাচার হবে ?’ তরুণী বলেন, থানা থেকে তো প্রত্যেক দিনই প্রিতমের পরিবারকে ডাকছে । দু তিন দিন আগে যখন ওর মা থানায় গিয়েছিল, তখন পুলিশ এমন খারাপ কথা বলে যে সেই সমস্ত কথা সহ্য করতে না পেরে প্রীতমের মা থানার মধ্যেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান । হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় । এত অত্যাচার কেন ? কোন মায়াদয়া বলে কিছু কি নেই ? ওরা যার জন্য এত কিছু অত্যাচার করছে, আমি তাদের মেয়ে হয়েই তে বলছি ওদের কোন অপরাধ নাই । যা কিছু করেছি সব আমি করেছি, নিজের ইচ্ছাই করেছি ।’
তরুণী অভিযোগ করেছেন, এরকম আমি শুনতে পাচ্ছি যে আমি যদি না ফিরে যাই তাহলে প্রীতমকে মিথ্যা শ্লীলতাহানির মামলায় ফাঁসাবে । এছাড়া প্রীতমের দিদি প্রেরণা নন্দীকে মুসলিম ছেলের সাথে জোর জবরদস্তি করে বিয়ে দিয়ে দেবে । আমার দাদা পার্টির লোকেদের দিয়ে এমনই হুমকি দিচ্ছে, রাত বিরেতে হুমকি দিচ্ছে, দিদির উপর অত্যাচার করছে । তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে৷ ওরা বাড়িতে থাকতে পারছে না লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে ।’
তরুণী নিজের পরিবারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছেন,’আমি যতবার বাড়িতে ফোন করেছি একবারও থানাকে জানায়নি আমার পরিবার । সব কল রেকর্ডিং আমার কাছে আছে । এমন মামলা করেছে যে প্রিতমের বাবা এবং দিদিকে জামিন হতে হয়েছে। আমি বলা সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত সেই মামলা তোলা হয়নি । এখন কথা হলো যে আমাকে খুঁজে পাওয়ার পর হয়তো আমায় লুকিয়ে রেখে প্রীতমের নামে মিথ্যা কিডন্যাপ মামলা করে ফাঁসাবে । আর আমি বলে রাখছি যে আমাকে যদি জোর জবরদস্তি করে, এখান থেকে নিয়ে যায় বাড়ির লোক, মানে ওর থেকে আমাকে যদি দূরে সরিয়ে দেয় তাহলে আমি সত্যি সত্যি আত্মহত্যা করব ।’
এরপর স্বামী প্রীতমকে ক্যামেরার সামনে ডেকে তার হাত ধরে সুলতানা পারভীন সাথী বলেছেন, ‘এই হচ্ছে প্রীতম নন্দী যাকে আমি বিয়ে করেছি । এখন একসাথেই রয়েছি । আমি ওর সাথেই সারা জীবন থাকতে চাই । আমি কখনো বাড়ি যেতে চাই না । যেটা বলতে চাই যে পরিবারের বিরুদ্ধে এত কিছু মামলা, এত নির্যাতন সেগুলো যেন সব বন্ধ করে । আর কোনো রকম যেন অত্যাচার না করে । তা না হলে দুজনে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হব । আর যদি আত্মহত্যা করি তাহলেই থাকবে পুলিশ প্রশাসন, আমার দাদা শেখ সাবির উদ্দিন আহমেদ জয়, আমার মা মেহেরুন্নেসা বেগম, আমার বাবা সেক্স শামসুদ্দিন আহমেদ আর আমার কাকার ছেলে সেক্স সাহিল । তারা সবাই তাই থাকবে আমাদের আত্মহত্যার জন্য।’
তরুনীর বক্তব্য শুনুন 👇
ফেসবুক লাইভে ওই তরুণীকে সিঁদুর এবং লাল টিপ পরে থাকতে দেখা গেছে । হিন্দু বধূর মতই হাতে ছিল শাঁখা ও পলা । স্বামী প্রীতম নন্দীর ফেসবুক পেজ থেকেই লাইভে আসেন ওই তরুনী । যদিও তরুনীর ফেসবুক লাইভের বিষয়ে তার পরিবার বা পুলিশের কোনো প্রতিক্রিয়া নেওয়া সম্ভব হয়নি ।।