এইদিন ওয়েবডেস্ক,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান),১৪ জুলাই : পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের সিউর গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূল নেতা অসীম দাসকে গুলি করে খুনের ঘটনায় সরাসরি বিজেপির ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল । কিন্তু বুধবার বিকেলে নিহত দলীয় নেতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসে তিনি কার্যত সুরবদলে ফেললেন । এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘এটা নিশ্চিত যে রাজনৈতিক কারনেই অসীমকে খুন করা হয়েছে ।খুনিরা বিজেপির হতে পারে । বিজেপির বাইরেও হতে পারে । আবার যারা জেল খেটে এসেছে তারাও হতে পারে ।’ পাশাপাশি তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ‘পুলিশ সন্দেহজনক যাকে পাবে তাকেই গ্রেফতার করবে । আমার দল করলেও ছাড়া পাবে না । অন্য দল করলেও ছাড়া পাবে না । তিনদিনের মধ্যে অপরাধীদের আ্যরেষ্ট করা হবে । একেবারে সোজা করে দেওয়া হবে । চ্যালেঞ্জ করে বলছি ।’ এদিকে এই খুনের ঘটনার তদন্তের জন্য ৬ সদস্যের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা ‘সিট’ গঠন করা হয়েছে ।
গত সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে গ্রাম ঢোকার মুখেই খুন হন মঙ্গলকোট ব্লকের লাখুড়িয়া অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অসীম দাস । খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করা হয় । পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় । চিকিৎসক রা ময়নাতদন্তের আগে গুলির অবস্থান জানতে মৃতদেহের এক্সরে করান । রিপোর্টে দেখা যায় পাঁজরের হাড় ভেদ করে আটকে রয়েছে একটি গুলি । গুলির মাপ দেখে পুলিশের অনুমান থ্রিনটথ্রি রাইফেল জাতীয় কোনও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়েছিল অসীম দাসকে । এই ঘটনায় কোনও সুপারি কিলারকেও কাজে লাগানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান তদন্তকারী আধিকারিকদের।
মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে আসে সিআইডির ৫ সদস্যের একটি দল । তাঁরা কিছু নমুনাও সংগ্রহ করে নিয়ে যান বলে জানা গেছে । এবার গঠন করা হল স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম । জানা গেছে, ওই দলে আছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার(গ্রামীন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব দাস, কাটোয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কৌশিক বসাক, ওসি এসওজি, মঙ্গলকোট থানার আইসি, খন্ডঘোষ থানার ওসি প্রসেনজিৎ দত্ত এবং জামালপুর থানার ওসি মিথুন ঘোষ । প্রসেনজিৎবাবু ও মিথুনবাবু মঙ্গলকোট আগে থানার ওসির দায়িত্বে ছিলেন । এলাকা সম্পর্কে তাঁদের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে । সেই সুত্রেই তাঁদের তদন্তকারী দলে রাখা হয়েছে বলে খবর । এদিকে ঘটনার পরেই ৪ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ । তারা সকলেই সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলে জানা গেছে ।।