এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,৩১ অক্টোবর : মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে । বর্ধমানের শহরতলী বিজয়রামে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গনধর্ষণের শিকার হয়েছে ২০ বছরের এক তরুনী । তরুনীর প্রেমিকের হাত-পা বেঁধে কার্যত তার সামনেই প্রেমিকার উপর উপর্যুপরি নির্যাতন চালায় দুর্বৃত্তদের দল । একই ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার কল্যাণীতেও । বুধবার ভোরে স্বামীর সাথে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে গনধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ । কল্যাণীর কাঁচরাপাড়া রেলব্রিজের নিচে বর্বরোচিত এই কান্ড ঘটায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত৷ এই ঘটনায় ৮ জন নরপশুকে গ্রেপ্তার করেছে কল্যাণী থানার পুলিশ। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার পূর্ব বাসুরিয়া এলাকায় ধান খেতের মাঝে ১৬ বছরের আদিবাসী কিশোরী এলিনা সরেনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর যৌন নির্যাতনের পর খুনের সন্দেহ প্রকাশ করেছে পরিবার ।
একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরে রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল । তিনি এনিয়ে ফেসবুক পেজে একের পর এক পোস্ট করেছেন । দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘আবারও এক মর্মান্তিক ঘটনা।দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় এক কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়।পরিবারের দাবি,তাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।এ কোন রাজ্য বাস করছি আমরা?মমতা ব্যানার্জীর শাসনে বাংলায় একের পর এক শিশু থেকে মহিলার নির্যাতন,ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটেই চলেছে।পুলিশ প্রশাসন কি করছে?সবক্ষেত্রেই মমতার দলদাস পুলিশ রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে অপরাধীদের আড়াল করে চলেছে।বাংলার মেয়েদের নিরাপত্তা কোথায়?আমাদের প্রশ্ন, মমতা ব্যানার্জী নারীদের সুরক্ষার স্বার্থে কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে?বাংলার মানুষ উত্তর চায়।’
অন্য একটি পোস্টে অগ্নিমিত্রা পাল লিখেছেন,’কয়েক ঘন্টার মধ্যে বাংলায় পরপর মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনা। আবার গণধর্ষণ। প্রথম ঘটনা, দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে এক কিশোরীর গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।পরিবারের দাবি,তাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।দ্বিতীয় ঘটনা,হেমতাবাদে এক তরুণীকে বাঁশবাগানে চারজন মিলে ধর্ষণের চেষ্টা করে।পরিবার সেই তরুণীর চিৎকার শুনে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে দুষ্কৃতীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তরুণীর বাবাকে আক্রমন করে।আশঙ্কাজনক অবস্থায় তরুণীর বাবা হাসপাতালে ভর্তি।তৃতীয় ঘটনা,নদীয়ার কল্যাণীর রেলসেতুতে দম্পতির উপর হামলা।হামলার পরে স্বামীর সামনেই স্ত্রীকে গণধর্ষণ।
মমতা ব্যানার্জির শাসনে এই বাংলায় নারীদের উপর আর কত ধর্ষণের ঘটনা ঘটবে?মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজত্বে নারীদের উপর ক্রমাগত ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর কোনও বিবৃতি নেই।লজ্জা।বাংলায় মহিলাদের সুরক্ষা কোথায়?মমতা ব্যানার্জী ও তার দলদাস পুলিশ মহিলাদের সুরক্ষার পরিবর্তে অপরাধীদের আড়াল করতে ব্যস্ত।মমতা ব্যানার্জী মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী হিসাবে সম্পূর্নরূপে ব্যর্থ।মহিলাদের নিরাপত্তার স্বার্থে মমতা ব্যানার্জী কি পদক্ষেপ নিয়েছে?বাংলার মানুষ উত্তর চায়।’ তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পদত্যাগের দাবিও জানান ।।