এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,৩০ অক্টোবর : কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের পর বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে,বিশেষ করে সেদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু ও বৌদ্ধদের কাছে । বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, আহমদীরা তাদের ধর্মীয় পরিচয়ের জন্য ইসলামী মৌলবাদীদের নিশানা হচ্ছে প্রতিনিয়ত, কিন্তু এখন মোহাম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার সেই সমস্ত ইসলামী মৌলবাদী তথাকথিত ছাত্রদের আইনি সুরক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা সারা বাংলাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে ।
খবরে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন নতুন সরকার ১৫ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিক্ষোভে জড়িত ‘আসামিদের’ যেকোনো শাস্তি থেকে অব্যাহতি দিয়ে একটি আদেশ জারি করেছে। ইউনূস সরকারের এই পদক্ষেপ বিতর্কও সৃষ্টি করছে, কারণ অনেকে একে সেই সময়ের সহিংসতার দায় এড়ানোর উপায় বলে মনে করছেন। পাশাপাশি আশঙ্কা করা হচ্ছে যে এটি গুরুতর অপরাধের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের সুরক্ষাও দিতে পারে, কারণ এই সময়ের মধ্যে অনেক নিরীহ ভুক্তভোগীকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত,’ছাত্র-নেতৃত্বাধীন’ আন্দোলনে শত শত মানুষ নিহত হয়েছিল, তবে যারা এই সহিংসতার শিকার হয়েছেন তারা আশঙ্কা করছেন যে নতুন কর্তৃপক্ষের দেওয়া ‘ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি’ তাদের আর ন্যায়বিচার দেবে না । বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে,’একটি নতুন বৈষম্যহীন বাংলাদেশে যাত্রা শুরু হয়েছে । এই অস্থিরতার সাথে জড়িত ছাত্র এবং নাগরিকদের ১৫ জুলাই থেকে ৮ আগস্টের মধ্যে তাদের কর্মের জন্য শাস্তি, গ্রেপ্তার বা হয়রানির সম্মুখীন হতে হবে না।’ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলিম, আহমদিয়া সুফি সম্প্রদায়, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানদের মতো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ভয়াবহ হামলা হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে । আসলে সহিংস বিক্ষোভ চলাকালীন গত ৫ আগস্ট, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং দেশ ত্যাগ করেন । তার বিদায়ের পর বাংলাদেশী সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করে এবং মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের হিন্দুরা সারা দেশে ইসলামপন্থীদের দ্বারা লক্ষ্যবস্তু হতে শুরু করে । কোটা বিরোধী আন্দোলন ক্রমশ সাম্প্রদায়িক হিংসায় পরিনত হয় । জামাত ইসলামি ও বিএনপির জঙ্গিরা হিন্দু মেয়েদের অপহরণ-ধর্ষণ-ধর্মান্তরিত করে নিকাহ করতে বাধ্য করতে শুরু করে । অসংখ্য হিন্দুর ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর লুটপাট হয়েছে । আক্রান্ত হয়েছে হিন্দু মন্দির ও দেবদেবীর বিগ্রহ । যা এখনো অব্যাহত রয়েছে । এর মাঝেই ইউনূস সরকারের এই সিদ্ধান্তে ইসলামি জঙ্গিরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে ।।