এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তর ২৪ পরগণা,৩০ অক্টোবর : পশ্চিমবঙ্গে নিয়মিত ব্যবধানে ঘটে চলেছে নারী নির্যাতনের ঘটনা । এবারে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নূরে আলম সরদার নামে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রোগিনীকে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে ধর্ষণের ভিডিও করে সেই ভিডিও দেখিয়ে ব্লাকমেলিং করে দিনের পর দিন যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে । নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগের পর অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
জানা গেছে,ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাসনাবাদ এলাকায়। ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, তিনি ডাক্তার নূরে আলম সরদারের কাছে ওষুধ নিতে গিয়েছিলেন। যেখানে নূরে আলম তাকে একটা ইনজেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে দেয় । এরপর তাকে ধর্ষণ করে । শুধু তাই নয়, সে নিজের মোবাইলে সেই অশ্লীল দৃশ্যের ভিডিও রেকর্ড করে রাখে । তারপর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন যৌন নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছিল । নির্যাতিতার আরও অভিযোগ, ডাক্তার তার কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা আদায় করেছে ।
জানা গেছে,নির্যাতিতার স্বামী বিদেশে থাকেন। স্বামী বাড়ি ফিরলে ওই নারী তাকে ঘটনার সম্পূর্ণ তথ্য দেন। এরপর অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন স্বামী। অভিযোগে স্বামী জানান, তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য নূরে আলম সরদারের চেম্বারে গিয়েছিলেন। অভিযোগে স্বামী লিখেছেন, ‘ডাক্তার তাকে ইনজেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে দেয় । জ্ঞান ফেরার পর তিনি বুঝতে পারলেন যে তিনি সঠিক পোশাক পরেননি। তখন সে জানতে পারে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে ।’ স্বামী আরও জানান, চিকিৎসকের ব্ল্যাকমেলের জেরে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন নির্যাতিতা। স্ত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টার কথা জানতে পেরে তিনি গ্রামে ফিরে আসেন।
উত্তর ২৪ পরগনার এসপি ডক্টর হুসেন মেহেদি রেহমান ইন্ডিয়া টুডেকে বলেছেন যে তিনি নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু করেছেন। এফআইআর নথিভুক্ত হওয়ার পর, মঙ্গলবার(২৯ অক্টোবর)পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে । ধৃত চিকিৎসককে জেলা দায়রা আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হয়। এরপর তাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয় ।।