বানা রায়, কাটোয়া (পূর্ব বর্ধমান) ২৮ অক্টোবর: কালীপুজোর তিনদিন আগে কালীমূর্তি উদ্ধার হল পুকুর থেকে। এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার গোয়াই গ্রামে । আপাতত ধাতুর মূর্তিটি রাখা হয়েছে গোয়াই গ্রামের মাঝিপাড়ায় একটি পারিবারিক মন্দিরে। ওই পরিবারের বধূ ঋতু মাঝির দাবি,” মা আমাকে স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন। মায়ের ইচ্ছাতেই পুজো করা হবে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গোয়াই গ্রামের মাঝিপাড়ার বাসিন্দা ঋতু মাঝি(৩০) বছর চারেক ধরে পুজোর্চ্চনা নিয়েই কাটান। তাঁর স্বামী রামু জনমজুরি করেন। এক মেয়ে রয়েছে ওই দম্পতির। ঋতুদেবী জানান সোমবার সকালে তিনি গ্রামের টিবিপুকুর নামে একটি পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিলেন । স্নান করার সময় তাঁর পায়ে কিছু ঠেকে। তারপর জল থেকে তুলে দেখেন একটি কালীমূর্তি।
আট নয় ইঞ্চি উচ্চতার এই মূর্তি উদ্ধারের পরেই এলাকায় রটে যায় পুকুর থেকে সোনার কালীমূর্তি উদ্ধার হয়েছে। ফলে আশপাশের গ্রামের লোকজন দেখতে ভিড় জমান। খবর পায় পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ এসে বুঝতে পারে পারে ওই মূর্তিটি আসলে ছাঁচে ফেলে তৈরি করা পিতলের তৈরি। ধাতব মূর্তির উপর রঙ করা রয়েছে। ঋতু মাঝি মূর্তিটি পাওয়ার পর নিজেদের মন্দিরে রেখেছেন। সেখানেই এখন মূর্তিটি রয়েছে।
যদিও এই ধরনের মূর্তি কাঁসা পিতলের দোকানে হামেশাই পাওয়া যায়। কিন্তু এই মূর্তিটি এল কোথা থেকে? স্থানীয়দের একাংশের ধারণা কেউ গোপনে পুকুরের জলে আগেই ফেলে দিয়ে যায়। তারপর এটি উদ্ধারের পর এলাকায় হুজুগ ওঠে। তবে এর পিছনে কে বা কারা তা এখনও রহস্যই।।