এইদিন ওয়েবডেস্ক,পাটনা,২৭ অক্টোবর : তিন খুনের আসামি মৃত মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী হেনা শাহাব এবং ছেলে ওসামা রবিবার লালু প্রসাদ যাদব এবং বিহার বিধানসভার বিরোধীদল নেতা তেজস্বী প্রসাদ যাদবের হাত ধরে রাষ্ট্রীয় জনতা দল ( আরজেডি) তে যোগ দিলেন । তার আগে শনিবার গভীর রাতে পাটনায় তাদের ১০ সার্কুলার রোডের বাড়িতে লালু, বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং তেজস্বীর সঙ্গে মা-ছেলে দুজনের দেখা হয়েছিল।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে, হেনা শাহাব সিওয়ান থেকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং হেরেছিলেন। হেনা জনতা দলের (ইউনাইটেড) প্রার্থী বিজয়লক্ষ্মী দেবীর কাছে ৯২,০০০ ভোটে হেরে যান । তৃতীয় স্থানে ছিলেন আরজেডি প্রার্থী অবধ বিহারী চৌধুরী। লোকসভা নির্বাচনে হেনার প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল আরজেডি প্রার্থী চৌধুরীর পরাজয়ের কারণ।
মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, সিওয়ানে সাহেব নামে পরিচিত, এই অঞ্চলের মুসলিম সম্প্রদায়ের একজন শক্তিশালী নেতা ছিলেন ।মহম্মদ শাহাবুদ্দিন ১৯৯৬ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত লালু প্রসাদের দলের টিকিটে সিওয়ান লোকসভা কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন । ২০০৪ সালে বিহারের সাংবাদিক রাজীব রোশন, সতীশ ও গিরিশকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে । সতীশ এবং গিরিশকে ২০০৪ সালের আগস্টে চাঁদাবাজির টাকা দিতে অস্বীকার করায় খুন করা হয়েছিল। তৃতীয় ভাই, রাজীব রোশন, যিনি সেই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন,তাকে এসিড ঢেলে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগ ওঠে । মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল বিহারের সিওয়ান জেলা দায়রা আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় শাহাবুদ্দিন । কিন্তু পাটনা হাইকোর্ট শাহাবুদ্দিনের যাবজ্জীবন সাজা বহাল রাখে । দিল্লির তিহার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন শাহাবুদ্দিন । ২০২১ সালের পয়লা মে কারাগারে কোভিড ১৯-এ মারা যান তিনি । শাহাবুদ্দিত্যুর পর তার স্ত্রী হেনা ও লালুর পরিবারের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয় । অবশেষে লালু প্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী যাদবের মধ্যস্থতায় সেই টানাপোড়েন মেটে ।।