দোহা
শ্রী গুরু চরণ সরোজ রাজা নিজামনা মুকুরা সুধারী।
ভারণৌ রঘুবরা বিমলয়াশা জো দায়ক ফলচারী ॥
বুদ্ধহিনা তনুজানিকই সুমিরাউ পাবনা কুমার।
বালা বুদ্ধি বিদ্যা দেহু মোহি হরহু কালেশ বিকার ॥
ধ্যানম
অতুলিতা বলধামং স্বর্ণ শৈলাভ দেম।
দনুজ বনা কৃষ্ণানুম জ্ঞানীনা মগরাগন্যম ॥
সকল গুণ নিধানম বানরাণ মাধীশম।
রঘুপতি প্রিয়া ভক্তম বতায়াতম নমামি ॥
গোষপাদীকৃত বরাশিষ্ট মাসকিকৃত রক্তসম।
রামায়ণ মহামালা রত্নম বন্দে-(ক)নীলাত্মজম ॥
যাত্রাযাত্রা রঘুনাথ কীর্তনাম তত্র তত্র কৃততমস্তাকাঞ্জলিম।
ভাঁসপাওয়ারী পরিপূরণ লোচনাং মারুতিংস নমতা রাক্ষসন্তকম ॥
মনোজবং মারুত তুল্যভেগম।
জিতেন্দ্রিয়ং বুদ্ধি মাতাং বরিষ্টম্ ॥
ভতামজম ভ্যানরেউথ মুখ্যম।
শ্রী রাম দূতং শিরাসা নমামি।
চৌপাই
জয় হনুমান জ্ঞান গুন সাগর।
জয় কপিস তিহু লোক উজাগর ॥১॥
অর্থ : জ্ঞান ও গুণের সাগর হনুমানের জয়। তিন জগতের জাগরণকারী বানর বীরের জয়।
রাম দূত অতুলিত বল ধামা।
অঞ্জনী-পুত্র পবন সুত নামা ॥২॥
অর্থ : রামের দূত, অতুলনীয় শক্তি এবং গতি সহ, অঞ্জনীর পুত্র, বাতাসের বংশ বলে পরিচিত ।
মহাবীর বিক্রম বজরঙ্গী।
কুমতি নিবার সুমতি কে সঙ্গি ॥৩॥
অর্থ : শক্তিশালী এবং বলিষ্ঠ দেহের সাথে পরাক্রমশালী বীর,বুদ্ধিমত্তা ও প্রজ্ঞায় কে তোমাকে মেলে?
কাঞ্চন বরন বিরাজ সুবেষা।
কানন কুণ্ডল কুঞ্চিত কেশা ॥৪॥
অর্থ : সোনালি রঙ এবং সুন্দর পোশাকে সজ্জিত, সঙ্গে কানের দুল ঝুলানো এবং কোঁকড়ানো চুল।
হাথবজ্র ঔ ধ্বজা বিরাজৈ।
কান্ধে মুঞ্জ জানিউ সাজে ॥৫॥
অর্থ : হাতে বজ্র ও পতাকা নিয়ে শোভিত,কাঁধ এবং কোমর জুড়ে একটি পবিত্র সুতো পরা।
শঙ্কর সুবন কেশরী নন্দন।
তেজ প্রতাপ মহা জগ বন্দন ॥৬॥
অর্থ : ভগবান শঙ্করের পুত্র ও কেশরীর আনন্দ, সেই পরাক্রমশালী যাঁর মহিমা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়।
বিদ্যাবান গুণী অতি চাতুর ।
রাম কাজ করিবে কো আতুর ॥৭॥
অর্থ : কে জ্ঞানী, গুণী এবং অতি চতুর-কে রামের কাজ করতে ব্যাকুল হবে না?
প্রভু চরিত্র সুনিবে কো রসিয়া ।
রামলখন সীতা মন বসিয়া ॥৮॥
অর্থ : যে ভক্তি সহকারে ভগবান রামের দিব্য কাহিনী করে শ্রবণ,তাদের মন রাম, লক্ষ্মণ ও সীতার প্রেমে হয় পরিপূর্ণ ।
সূক্ষ্ম রূপধরি সিয়াহি দিখাবা ।
বিকট রূপধরি লংক জরাবা ॥৯॥
অর্থ : তুমি ক্ষুদ্র রূপ ধারণ করে সীতার সামনে উপস্থিত হয়েছো,আবার ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে লঙ্কা নগরীকে পুড়িয়েছো ।
ভীম রূপধরি অসুর সংহারে ।
রামচন্দ্র কে কাজ সংবারে ॥১০॥
অর্থ : ভীমের ন্যায় বিশাল রূপে তুমি অসুর নাশ করো,ভগবান রামের সব কাজ তুমি একমাত্র করতে পারো ।
লায়ে সঞ্জীবন লখন জিয়ায়ে ।
শ্রী রঘুবীর হরষি উর লায়ে ॥১১॥
অর্থ : সঞ্জীবনী এনে তুমি লক্ষণকে পুনর্জীবন দিয়েছো,ভগবান রামের হৃদয় সুখে পূর্ণ করেছো ।
রঘুপতি কীন্হী বহুত বদায়ী ।
তুম মম প্রিয ভরত সম ভায়ি ॥১২॥
অর্থ : রঘুপতি (ভগবান রাম) ভরতকে খুব প্রশংসা করেছিলেন। তুমি ভরতেরই মতো তেনার পরম প্রিয় ভ্রাতা৷
সহস্র বদন তুম্হরো য়শগাবৈ ।
অস কহি শ্রীপতি কণ্ঠ লগাবৈ ॥১৩॥
অর্থ : হাজার মুখ তোমার মহিমা গাইবার জন্য যথেষ্ট নয়,এই বলে প্রভু রাম তোমাকে আলিঙ্গন করেন ।
সনকাদিক ব্রহ্মাদি মুনীশা ।
নারদ শারদ সহিত অহীশা ॥১৪॥
অর্থ : স্রষ্টা ব্রহ্মা সনকা, মুনি নারদ সকলে তোমার যথাযথ মহিমা বর্ননা করতে ব্যর্থ ।
য়ম কুবের দিগপাল জহাং তে ।
কবি কোবিদ কহি সকে কহাং তে ॥১৫॥
অর্থ : কবি এবং পণ্ডিতরা ইত্যাদি এমনকি যমরাজ, কুবের এবং দিগপালের মতো দেবতারাও হনুমানের মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে ব্যর্থ।
তুম উপকার সুগ্রীবহি কীন্হা ।
রাম মিলায় রাজপদ দীন্হা ॥১৬॥
অর্থ : তুমি সুগ্রীবের একটি মহান উপকার করেছো, তাকে শ্রী রামেরসাথে একত্রিত করে রাজকীয় সিংহাসনে স্থাপন করেছ ।
তুম্হরো মন্ত্র বিভীষণ মানা ।
লংকেশ্বর ভয়ে সব জগ জানা ॥১৭॥
অর্থ : তোমার ভগবান রামের উপদেশ বিভীষণ মানে,লঙ্কার অধীশ্বরের (রাবণ) ভয় সম্পর্কে সমস্ত বিশ্ব জানে ।
য়ুগ সহস্র য়োজন পর ভানূ ।
লীল্যো তাহি মধুর ফল জানূ ॥১৮॥
অর্থ : সহস্র যোজন উর্দ্ধে সূর্য্যদেবকে দেখে, ভুল করে তারে মিষ্টি ফল ভেবে গ্রাস করেছিলে ।
প্রভু মুদ্রিকা মেলি মুখ মাহী ।
জলধি লংঘি গয়ে আচার্য নাহী ॥১৯॥
অর্থ : প্রভু রামের আংটি মুখে নিয়ে তুমি নির্দ্বিধায় সমস্ত বাঁধাকে তুচ্ছ করে সাগর পারি দিয়ে ছিলে।
দুর্গম কাজ জগত কে জেতে ।
সুগম অনুগ্রহ তুমহ্রে তেতে ॥২০॥
অর্থ : দুর্গম কাজ যা পৃথিবীতে কেউ সম্পন্ন করতে পারেনা,তা তোমার অনুগ্রহে সহজ সরল হয়ে যায়।
রাম দুয়ারে তুম রখবারে ।
হোত ন আজ্ঞা বিনু পৈসারে ॥২১॥
অর্থ : প্রভু রামের দুয়ারে তুমি চিরকালের রক্ষী, তোমার আজ্ঞা ছাড়া কেহ না প্রবেশ করতে পারে ।
সব সুখ লহৈ তুম্হারী শরণা ।
তুম রক্ষক কাহূ কো ডরনা ॥২২॥
অর্থ : তোমার কৃপায় আমি সর্বসুখ লাভ করি, তুমি যেথা রক্ষী, সেথা আর কারে ডরি ।
আপন তেজ সম্হারো আপৈ ।
তীনোং লোক হাংক তে কাংপৈ ॥২৩॥
অর্থ : নিজের তেজ, তুমি নিজেই করো সম্বরণ, তোমার হুঙ্কারে দেখো কাঁপে ত্রিভুবন ।
ভূত পিশাচ নিকট নহি আবৈ ।
মহাবীর জব নাম সুনাবৈ ॥২৪॥
অর্থ : ভুত, প্রেত, পিশাচ কভু কাছে না আসে, মহাবীর নাম তবে যে স্মরণ করে।
নাসৈ রোগ হরৈ সব পীরা ।
জপত নিরন্তর হনুমত বীরা ॥২৫॥
অর্থ : রোগ, কষ্ট ও দুর্দশা সব দূর হয়, যে জন তোমার নাম জপ করে ।
সংকট সে হনুমান ছুড়াবৈ ।
মন ক্রম বচন ধ্যান জো লাবৈ ॥২৬॥
অর্থ : বিপদ ও সংকটে একমাত্র মহাবীর হনূমান উদ্ধার করে,যে তার নাম (হনুমান ) চিরকাল ধ্যান করে ।
সব পর রাম তপস্বী রাজা ।
তিনকে কাজ সকল তুম সাজা ॥২৭॥
অর্থ : যে মহাপ্রভু রামের ধ্যান তপস্যা করে, তুমি তাদের সমস্ত কঠিন কাজকে সহজ করো ।
ঔর মনোরধ জো কোয়ি লাবৈ ।
সহি অমিত জীবন ফল পাবৈ ॥২৮॥
অর্থ : তোমার চরণে যে অন্তরের আকাঙ্ক্ষাগুলোকে সমর্পণ করে,তবে সে জীবনের সীমাহীন ফল লাভ করে।
চারো যুগ প্রতাপ তুম্হারা ।
হৈ প্রসিদ্ধ জগত উজিয়ারা ॥২৯॥
অর্থ : তোমার নামের খ্যাতি ছড়াবে চার যুগে, তোমার মহিমাতে আলোকিত হবে জগৎ জুড়ে ।
সাধু সন্ত কে তুম রখবারে ।
অসুর নিকংদন রাম দুলারে ॥৩০॥
অর্থ : হে হনুমান, তুমি রক্ষা করো সাধু সন্ত, অসুর সংহার করে তুমি শ্রী রামের প্রিয় ভক্ত ।
অষ্ঠসিদ্ধি নব নিধি কে দাতা ।
অস বর দীন্ জানকী মাতা ॥৩১॥
অর্থ : তুমি অষ্ট সিদ্ধি ও নব নিধির শক্তি দান করতে পারো,যা তুমি বরদান রূপে পেয়েছো, জানকি মাতার থেকে৷
রাম রসায়ন তুম্হারে পাসা ।
সদা রহো রঘুপতি কে দাসা ॥৩২॥
অর্থ : হে হনুমান, তুমি রাম নামের অমৃতের অধিকারী,সর্বদা ভগবান রঘুপতির সেবক হয়ে থাকো ।
তুম্হরে ভজন রামকো পাবৈ ।
জনম জনম কে দুখ বিসরাবৈ ॥৩৩॥
অর্থ : তোমার আরাধনা করে, কেউ ভগবান রামের ভক্তি লাভ করতে পারে এবং তা করে জন্ম জন্মের সমস্ত কষ্ট থেকে মুক্ত হতে পারে ।
অন্ত কাল রঘুপতি পুরযায়ী ।
জহান জনম হরিভক্ত কহায়ী ॥৩৪॥
অর্থ : রঘুপতি রামের সেবায়, যে জীবন নিবেদন করে,তিনি প্রতি জন্মে হরি (ভগবান বিষ্ণুর) ভক্ত হবে ।
ঔর দেবতা চিত্ত ন ধরায়ে ।
হনুমত সেযি সর্ব সুখ করায়ে ॥৩৫॥
অর্থ : অপর কোন দেবতার প্রতি চিত্ত নিবিষ্ট না করেও কেবল হনুমানের সেবা করেই সর্বফল লাভ করা যেতে পারে৷
সংকট কটৈ মিটৈ সব পীরা ।
জো সুমিরৈ হনুমত বল বীরা ॥৩৬॥
অর্থ : রোগের সমস্ত বিপদ থেকে মুক্তি পায় সে,যে মহাবলী বীর্যবীর হনুমান কে স্মরণ করে ।
জয় জয় জয় হনুমান গোসায়ী ।
কৃপা করহু গুরুদেব কী নায়ী ॥৩৭॥
অর্থ :হে প্রভু হনুমানজি, তোমার জয় হোক, জয় হোক, জয় হোক। তোমার গুরুদেবের মতোই তুমি আমাকে কৃপা করো৷
যো শত বার পাঠ কর কোয়ী ।
ছূটহি বন্দি মহা সুখ হোয়ী ॥৩৮॥
অর্থ : এই হনুমান চালিশা যে শত বার পাঠ করবে, সে পার্থিব বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে প্রভুত্ব সুখ ও সৌভাগ্য লাভ করবে৷
জো য়াহ পড়ে হনুমান চালীসা ।
হোয়ে সিদ্ধি সাখী গৌরীশা ॥৩৯॥
অর্থ : যিনি এই হনুমান চালিশা ভক্তি সহকারে পাঠ করেন,স্বয়ং ভগবান শিব সাক্ষী, তিনি অবশ্যই সিদ্ধি লাভ করেন৷
তুলসীদাস সদা হরি চেরা ।
কীজৈ নাথ হৃদয় মহ ডেরা ॥৪০॥
অর্থ : তুলসীদাস (নিজ নাম) সদা প্রভু হরির ভক্ত,
এই বিশ্বাস করে হৃদয়ে স্থান দাও ।
দোহা
পবন তনয সংকট হরণ – মঙ্গল মূরতি রূপ্ ।
রাম লখন সীতা সহিত – হৃদয় বসহু সুরভূপ্ ॥
সিয়াবর রামচন্দ্রকী জয় । পবনসুত হনুমানকী জয় ।
“শেষ পংক্তিতে কবির নামের বদলে আপনার নিজের নাম উল্লেখ করলে, হনুমান চালিশা পাঠ আপনার তরফ থেকে ভগবানের উদ্দেশে আপনার থেকেই সমর্পন করা হবে। তাই তুলসীদাস এর পরিবর্তে নিজের নাম বলবেন।”