এইদিন ওয়েবডেস্ক,২৪ অক্টোবর : মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের বর্তমানে কোনো দেশ নেই । সমুদ্রপথে নৌকায় চড়ে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুরা এদেশ ওদেশে ঘুরে বেড়ায় আশ্রয়ের খোঁজে । কিন্তু রোহিঙ্গাদের অপরাধ প্রবণতা ও সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার কারনে অনেক দেশ তাদের আশ্রয় দিতে চায় না । ওই সমস্ত দেশগুলির মধ্যে ইসলামি দেশও রয়েছে । তার মধ্যে ইন্দোনেশিয়া হল এমন একটি ইসলামি দেশ যারা রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিজের দেশে ঢুকতে পর্যন্ত দেয় না । বিপুল সংখ্যায় ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করা রোহিঙ্গা মুসলিমদের স্থানীয়রা নৌকা থেকে নামতে পর্যন্ত দেয়নি। ইন্দোনেশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আচেহ প্রদেশের উপকূলে ১৪০ জন ক্ষুধার্ত রোহিঙ্গা মুসলিম সমুদ্রপথে নৌকায় চড়ে এসেছিল । কিন্তু তারা নৌকা থেকে ইন্দোনেশিয়ার মাটিতে পা পর্যন্ত রাখতে পারেনি স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরোধিতার কারনে । এমনকি ১৪০ জন রোহিঙ্গা মুসলিমদের মধ্যে বেশিরভাগ মহিলা এবং শিশু থাকলেও ইন্দোনেশিয়ানরা নুন্যতম দয়ামায়া দেখায়নি ।
স্থানীয় পুলিশ জানায়, বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে দক্ষিণ আচেহ জেলার লাবুহান হাজির উপকূলে প্রায় দুই সপ্তাহের যাত্রার সময় তিনজন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় রবিবার থেকে ১১ জন রোহিঙ্গাকে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছে কর্মকর্তারা। আচেহের মাছ ধরা সম্প্রদায়ের প্রধান মোহাম্মদ জাবাল বলেছেন,’আমাদের মাছ ধরার সম্প্রদায় তাদের এখানে নামতে দেয়নি কারণ আমরা চাই না যে অন্য জায়গায় যা ঘটেছে তা এখানে ঘটুক। তারা যেখানেই গেছে সেখানেই স্থানীয় মানুষের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে।’
পুলিশ জানায়, বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার সময় নৌকাটিতে ২১৬ জন ছিল এবং তাদের মধ্যে ৫০ জন ইন্দোনেশিয়ার রিয়াউ প্রদেশে নেমেছিল। প্রায় ১০ শতাংশ মুসলিম রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে উদ্বাস্তু হিসেবে বাংলাদেশে বসবাস করে। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় ৭,৪০,০০০ মানুষ যাদের ২০১৭ সালে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় । মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিজেদের স্বভাবের জন্য আজ দেশহীন অবস্থায় ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে৷ এমনকি তাদের নাগরিকত্ব পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হয়েছে ।।