এইদিন ওয়েবডেস্ক,নদীয়া,১৬ অক্টোবর : পশ্চিমবঙ্গে ফের ঘটেছে নৃশংস বর্বরোচিত নারী নির্যাতনের ঘটনা । এবারে নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের রামকৃষ্ণপাড়ায় একটা পূজোমণ্ডপের অদূরে আজ বুধবার সকালে এক অজ্ঞাতপরিচয় তরুনীর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা । পরিচয় আড়াল করতে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তরুনীর মুখ ।তরুণীর দেহটি যেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে সেখান থেকে পুলিশ সুপারের অফিসের দূরত্ব মাত্র ৫০০ মিটার । স্বভাবতই পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা । তাদের সন্দেহ যে তরুনীকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে । এদিকে রাজ্যে একের পর এক নারী নির্যাতনের নৃশংস ঘটনা ঘটতে থাকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল । এই বিষয়ে তিনি নিজের ফেসবুক পেজে লিখেছেন,’মমতা ব্যানার্জীর শাসনে বাংলায় আরেকটি ভয়াবহ ঘটনা। নদীয়ার দুর্গা পুজো প্যান্ডেলের কাছে পাওয়া গেল এক মহিলার অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বিবস্ত্র দেহ।মমতা ব্যানার্জীর শাসনে বাংলার আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে।মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজত্বে বাংলার মহিলারা আজ অসুরক্ষিত। বাংলার মানুষ এই স্বৈরাচারী সরকারের পতন চায়।দফা এক,দাবি এক।মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর পদত্যাগ।’
জানা গেছে,আজ ভোরে প্রাতঃভ্রমণকারীরা কৃষ্ণনগরের রামকৃষ্ণপাড়ায় পুলিশ সুপারের অফিসের কিছুটা পাশেই এবং একটা দুর্গামণ্ডপের লাগোয়া এলাকায় তরুনীর নগ্ন, রক্তাক্ত, অর্ধপোড়া লাশ পড়ে থাকতে দেখেন । তরুণীর বয়স ২০-২১ বছর বলে মনে করছেন তারা ৷ পরে কৃষ্ণনগরের কোতয়ালি থানার পুলিশ গিয়দ দেহ উদ্ধার করে আনে । যদিও এখনো নিহত তরুনীর পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ । তরুনীকে অন্য কোথাও খুন করে ওই জায়গায় ফেলে রাখা হয়েছে কিনা তানিয়ে ধন্দ্বে পুলিশ ।।