এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,১৫ অক্টোবর : বাংলাদেশে ইসলামি জঙ্গি সংগঠনগুলো ক্ষমতায় আসার পর ব্যাঙ্কগুলি কার্যত দেউলিয়া হয়ে গেছে ৷ খবর যে অর্থাভাবে উপভোক্তাদের টাকাও দিতে পারছে না কিছু ব্যাঙ্ক । অবশ্য এজন্য পূর্ববর্তী শেখ হাসিনা সরকারের দুর্নীতিকে দায়ি করা হচ্ছে । এছাড়া বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি বর্তমানে আকাশ ছোঁয়া । বাংলাদেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বর্তমানে কি পরিমান দাম বেড়েছে তার এক ঝলক দেখিয়েছেন
মহম্মদ নাসিম সরকার নামে এক বাংলাদেশি । ওই ব্যক্তি নিজের ফেসবুক পেজে ৬ টি টম্যাটো ও গুটি কয়েক সিম ও কাঁচা লঙ্কার ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘এটা ৩০০ টাকার বাজার ।’ তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে লিখেছেন, ‘যারা বাপের হোটেলে খায়, আর যাদের জন্ম পরিচয়ে সমস্যা আছে তারা বিশ্বাস করবে না টমেটো ৫০০ গ্রাম ১৫০ টাকা,শিম ২৫০ গ্রাম ৯০ টাকা, কাঁচা লঙ্কা ১০০ গ্রাম-৬০ টাকা । এটা ৩০০ টাকার বাজার।’
এদিকে ফের মুরগির ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে তিন ধরনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভোক্তাপর্যায়ে ডজন পড়বে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা। ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহম্মদ আলীম আখতার খান জানিয়েছেন, বুধবার (১৬ অক্টোবর) থেকেই নির্ধারিত দাম কার্যকর হবে।’
বাংলাদেশের একটা নিউজ পোর্টাল লিখেছে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বাজারে সব ধরনের নিত্যপণের দাম আকাশচুম্বি। তার মধ্যে হঠাৎ করেই ‘গরীবের প্রোটিন’ খ্যাত ডিমের দামের অসহনীয় উল্লম্ফন দেখা দেয়। এতে সারাদেশেই মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। বিষয়টি নিয়ে আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ডিমের উৎপাদক ও সরবরাহকারীদের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বৈঠক শেষে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, ‘বুধবার থেকে প্রতিটি ডিমের দাম উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৯১ পয়সা ও পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সায় বিক্রি হবে।’ ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, খুচরায় প্রতিটি ডিম ১১ টাকা ৮৭ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই হিসেবে ভোক্তাদের প্রতি ডজন কিনতে হবে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগেও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। তবে বাজারে তার কোনো কার্যকারিতা দেখা যায়নি।এদিকে ডিমের বেঁধে দেওয়া দাম কার্যকরে বাজারে অভিযান চালাচ্ছে ভোক্তা অধিদপ্তর। অভিযানে ডিমের দাম কমেনি, বরং এরইমধ্যে রাজধানীর তেজগাঁও আড়তে ডিম বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সরবরাহেও ঘাটতি তৈরি হয়েছে বাজারে। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, রাজধানীর বাজারগুলোতে ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে পাড়ামহল্লায় দোকানে ডিমের দাম প্রতি ডজন ১৯০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।।