এইদিন স্পোর্টস নিউজ,১৫ অক্টোবর : লাসানা দিয়ারার মামলায় ঐতিহাসিক রায়ের পর অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন(ফিফা)। ট্রান্সফার নীতিমালা হালনাগাদের জন্য বিশ্বব্যাপী ‘গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের’ সঙ্গে আলোচনায় বসবে তারা।গত ৪ অক্টোবর লুক্সেমবুর্গে দিয়ারার মামলার রায়ে ইউরোপীয় বিচারালয় জানিয়েছে, ফিফার ট্রান্সফার নীতিমালার কিছু অংশ প্রতিযোগিতা এবং শ্রমের জন্য অবাধ চলাচলের আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
কিছু বিশ্লেষকের ধারণা, প্রতি বছর ১০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের বৈশ্বিক ট্রান্সফার বাজারে এই রায়ের ব্যাপক প্রভাব পড়বে। তবে ফিফার ধারণা, তাদের পরামর্শ খেলোয়াড়-ক্লাব বিরোধের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীভূত থাকবে যেখানে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। ফিফার আলোচনায় বৈশ্বিক খেলোয়াড়দের ইউনিয়ন ফিফপ্রো, ক্লাব, লীগ এবং জাতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।এক বিবৃতিতে ফিফার প্রধান আইন কর্মকর্তা এমিলিও গার্সিয়া বলেছেন,’তাদের সঙ্গে ফিফা দিয়ারার রায়ের প্রভাব এবং ট্রান্সফার নীতিমালার ১৭ নং ধারায় কি ধরনের পরিবর্তন প্রয়োজন তা নির্ধারণ করবে ।’
গার্সিয়া বলেন,রিয়াল মাদ্রিদ, আর্সেনাল এবং চেলসির প্রাক্তন খেলোয়াড় দিয়ারা ২০১৩ সালে লোকোমোটিভ মস্কোর সঙ্গে চার বছরের চুক্তিতে আবদ্ধ হন। বেতন কমানোর অভিযোগে এক বছর পর চুক্তি বাতিল করে দেন তিনি।ফিফা এবং পরবর্তীতে ক্রীড়া সালিশি আদালত রুশ ক্লাবকে ‘যুক্তিসঙ্গত কারণে’ চুক্তি বাতিল করার ক্ষেত্রে সমর্থন করে। একই সঙ্গে, দিয়ারাকে ১০.৫ মিলিয়ন ইউরো (১১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হয়। দিয়ারার দাবি ছিল, ফিফার নীতিমালার কারণে নতুন ক্লাব খুঁজে পেতে তার অসুবিধা হয়েছে। ফলে তার নতুন নিয়োগকর্তাকেও লোকোমোটিভকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য যৌথভাবে দায়ী করা হয়েছে। দিয়ারার রায় চুক্তির মান্যতা নিশ্চিত করেছে। কোনও পক্ষই, ক্লাব বা খেলোয়াড়, বৈধ চুক্তি থেকে সহজে বেরিয়ে যেতে পারবে না’ । ‘ফলে, চুক্তি থেকে মুক্তি চাইলে, খেলোয়াড়দের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।’
দিয়ারার মামলা এখন বেলজিয়ামের স্থানীয় আদালতে চলে গেছে, যেখানে চূড়ান্ত রায় পেতে বছরের পর বছর লেগে যেতে পারে। এদিকে, ফিফা তাদের নেতৃত্বে ট্রান্সফার নীতিমালা হালনাগাদের জন্য আলোচনা শুরু করবে।।