এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১১ অক্টোবর : প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ায় দুর্গাপূজোয় ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল বাংলাদেশের ইসলামি মৌলবাদীরা ৷ যদিও পূজোর আগে, সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি শুরু করেছে বাংলাদেশ । রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশের ৪৯ টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৪৮টি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে। তারা ২০ টন করে ইলিশ ভারতে সরবরাহ করছে । প্রতি কেজি ইলিশ মাছের রপ্তানি মূল্য ধরা হয়েছে ১০ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১,২০০ টাকা প্রতি কেজি । কিন্তু বাংলাদেশের ইলিশ মাছে বিষাক্ত “ফর্মালিন” মেশানোর অভিযোগ উঠছে আমদানির প্রথম দিন থেকেই । ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় এনিয়ে পশ্চিমবঙ্গকে সতর্ক করে বাংলাদেশের ইলিশ মাছ খেতে নিষেধ করেছেন ।
তথাগত রায় নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পেজে এনিয়ে লিখেছেন,’আদানি গ্রুপের বিপুল বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় বিদ্যুৎ সংকটে বাংলাদেশের কোল্ড স্টোরেজ চলছে না তাই ইলিশ ভারতে রপ্তানী করতে বাধ্য হচ্ছে। সবটাই ফর্মালিন মেশানো বাসী পচা মাছ। এছাড়া সম্প্রতি বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতির পর কলকারখানা থেকে মিশ্রিত দূষিত জলের জন্য মাছে ফাঙ্গাস সহ নানা প্রকার রোগজীবাণু সংক্রমণ হচ্ছে। তাই এই মুহূর্তে সবাই বাংলাদেশি ইলিশ বর্জন করুন। সুস্থ থাকুন!’
প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আদানি পাওয়ার । ১৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র গত বছরের জুন থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে আদানি গ্রুপ । আদানিকে প্রতিমাসে বাংলাদেশের ৯০-৯৫ মিলিয়ন ডলার পরিশোধের কথা। কিন্তু এর বিপরীতে মাসে ৪০-৪৫ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হচ্ছে, যে কারণে গত কয়েক মাসে বড় বকেয়ার পাহাড় জমে গেছে । বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে আদানি পাওয়ার ৮ -৯ মাসের বিদ্যুতের দাম বাবদ প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার পাবে ৷ যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬,০০০ কোটি টাকা। ওই বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিতে গত ২৭ আগস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চিঠি দিয়েছেন গৌতম আদানি ।।