এইদিন স্পোর্টস নিউজ,১০ অক্টোবর : ভারতীয় ক্রিকেট দল আরেকটি দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে। দিল্লিতে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৮৬ রানে হারিয়েছে ভারত। এই জয়ের নায়ক ছিলেন তরুণ নীতিশ কুমার রেড্ডি এবং রিংকু সিং। রেড্ডিও ৩৪ বলে ৭৪ রান করে দুটি উইকেট নেন ।এই ম্যাচে সূর্য টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব । দলের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি। কিন্তু নীতীশ ও রিংকু মিলে দলকে বড় স্কোরের দিকে ঘুরিয়ে দেন । পাওয়ারপ্লের পর সপ্তম ওভারটা একটু দেখেশুনে খেলেন নিতিশ কুমার এবং রিঙ্কু সিং। কিন্তু এরপরই শুরু হয় তাদের আক্রমণ। পরের তিন ওভারে এই দুই ব্যাটার মিলে নেন ৫০ রান। এর মধ্যে রিশাদ হোসেনের করা এক ওভারেই নিয়েছেন ২৪ রান। তাদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ১০ ওভারের শেষে ১০১ রান করে ভারত। ৩৪ বলে ৭ ছক্কা ও ৪ চারে ৭৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে ১৪ তম ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানের শিকার হয়ে ফেরেন নিতিশ কুমার। নতুন ব্যাটার হিসেবে হার্দিক পান্ডিয়া যখন আসেন তখন ১৩ ওভার ৩ বলে ভারতের স্কোর ৪ উইকেটে ১৪৯ রান। হার্দিক এসেও রানের ধারা অব্যাহত রাখেন। মারকুটে ব্যাটিংয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন রিঙ্কু সিং। ৩ ছক্কা ও ৫ চারে ২৯ বলে ৫৩ রান করে তাসকিনের বলে আউট হন তিনি। শেষদিকে হার্দিক পান্ডিয়া এবং রইয়ান পরাগের ক্যামিও ইনিংসে ২২১ রান করে ভারত। ১৯ বলে ৩২ রান করেছেন হার্দিক। পরাগ করেছেন ৬ বলে ১৫।
হার্দিক পান্ডিয়া এবং রায়ান পরাগও ভালো ফিনিশিং দিয়েছেন। ২০ ওভারে নয় উইকেট হারিয়ে ২২১ রান করেছে ভারত। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন রিশাদ হুসেইন, তিনটি উইকেটই এসেছে শেষ ওভারে। জবাবে বাংলাদেশ ২০ ওভারে নয় উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৫ রান তুলতে পারে। আর এই ম্যাচের পাশাপাশি সিরিজও হেরেছে বাংলাদেশ । ভারত এই ম্যাচে সাত বোলার ব্যবহার করেছিল এবং সাতজনই উইকেট নিয়েছিল। নীতীশ রেড্ডি এবং বরুণ চক্রবর্তী দুটি করে উইকেট নেন এবং আরশদীপ, সুন্দর, অভিষেক, মায়াঙ্ক এবং রায়ান একটি করে উইকেট নেন।
ম্যাচের পর খুব খুশি দেখাচ্ছিল অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকে। সম্প্রচারকারীদের সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন,’আমি এমন পরিস্থিতি চেয়েছিলাম। আমি এই কন্ডিশনে আমায় ৫,৬ অথবা ৭ নম্বরের ব্যাটসম্যান হিসাবে দেখতে চেয়েছিলাম। রিংকু এবং নীতীশ দুজনের জন্যই খুশি। আমি যেভাবে চেয়েছিলাম সেভাবে তারা ব্যাটিং করেছে। ক্রিজে গিয়ে নিজেকে প্রকাশ করতে হবে।’সূর্যের মতে, ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই। তিনি বলেন,’শুধু জার্সি বদলায়, বাকি সব একই থাকে। আমি দেখতে চেয়েছিলাম বিভিন্ন কন্ডিশনে বিভিন্ন বোলার কী করতে পারে। সে কি কঠিন ওভারে ডেলিভারি দিতে পারবে ? কখনও হার্দিক বল করবেন না, কখনও ওয়াশিংটন সুন্দর বল করবেন না। আমি দেখতে চেয়েছিলাম অন্য তরুণদের কি প্রতিভা আছে। আজকের বোলিং নিয়ে আমি খুব খুশি।’ নীতীশের প্রশংসা করে সূর্য বলেন,’আজ তার দিন ছিল, তাই আমি তাকে বোলিংও দিয়েছিলাম।’।