এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৭ অক্টোবর : মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের শ্লীলতাহানির অভিযোগে অবশেষে গ্রেফতার করা হল কলকাতার পার্ক স্ট্রিট থানার অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টর(এসআই) অভিষেক রায়কে । পার্ক স্ট্রিট থানায় অভিযোগ নিতে অস্বীকার করলে নির্যাতিতা পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছিলেন । অভিযোগ পাওয়ার পর বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয় । অবশেষে আজ ওই এসআইকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে । মহিলা অভিযোগপত্রে জানান যে গত ৪-৫ অক্টোবর রাত ১টা ১০ নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে । ওইদিন পুজোর পোশাক দেওয়ার নাম করে নিজের রক্ষীকে দিয়ে থানার রেস্টরুমে তাকে ডেকে পাঠান সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) অভিষেক রায়। তিনি সেখানে গেলে তার হাতে পূজা উপহার হিসেবে একটি নতুন সালোয়ার কামিজ দেন এসআই । সেই সময় তার শরীরে অবাঞ্ছিত স্পর্শ করেন ওই এসআই । ঘটনার সময় তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে অভিযোগ তরুনীর ।
তরুনী লিখেছেনআমি বাধা দিলে তিনি বলেন এটা এমন কোনও ব্যাপার নয় । তিনি আমায় মৌখিকভাবে সান্ত্বনা দেওয়ারও চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণ পরে আমার ফোন পেয়ে থানায় চলে আসেন আমার ছোট ভাই । এরপর আমি ভাইকে নিয়ে ওই এসআইয়ের বিরুদ্ধে একটি জেনারেল ডাইরি করতে যাই । কিন্তু সেই সময় ডিউটি অফিসার রণবীর দাস আমার অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন । তিনি আমাকে কথা বলে মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন ।
নির্যাতিতা তরুনীর দাবি, এই প্রথম নয়,এর আগেও এমন ঘটনা তাঁর সঙ্গে ঘটিয়েছেন অভিযুক্ত এসআই অভিষেক রায় । এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড়টা নাগাদ মদ্যপ অবস্থায় তিনি পার্ক স্ট্রিট থানার কম্পিউটার রুমে তার সঙ্গে একই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। যদিও তখন তিনি বিষয়টি গোপন করে যান । কিন্তু এবারের ঘটনায় তিনি মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত ।তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন এবং আত্মসম্মানের সঙ্গে কাজ করার অভাব অনুভব করছেন তিনি । তিনি এটাও স্পষ্ট করেন যে অভিযুক্ত আধিকাকের বিরু ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত তিনি কোনও ডিউটি পালন করবেন না।
নির্যাতিতা মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার চিঠিটি একযোগে রাজ্যের মুখ্যসচিব, পুলিশ কমিশনার, জয়েন্ট পুলিশ কমিশনার, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ও পার্ক স্ট্রিট থানার ওসি-কে পাঠানোর পর তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি নেতা অমিত মালব্যর প্রতিক্রিয়া ছিল,’বাংলার নারীরা এখন আর নিরাপদ নয়, শুধু স্কুল, হাসপাতাল, নার্সিং হোম বা নিজেদের বাড়িতেই নয়, এমনকি থানাতেও নিরাপদ নয়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক অপ্রতিরোধ্য বিপর্যয়। তবুও, তিনি নির্লজ্জভাবে ক্ষমতা ধরে রেখেছেন, কোনো অনুশোচনা ছাড়াই। তার নিপীড়নমূলক শাসনের অধীনে, মহিলারা পুরোপুরি কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হতে পারে। তার সরকারও সুপ্রিম কোর্টে ওকালতি করেছে। কি লজ্জা!’