এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১০ জুলাই : পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারে বিষপান করে
আত্মঘাতী হলেন এক প্রৌঢ় । আর তাঁর আত্মহত্যার কারন নিয়ে শুরু হয়ে গেছে চাপানউতোর । মৃতের নাম তাপস ভট্টাচার্য্য(৫৭) । ভাতার থানার বাসুদা গ্রামে তাঁর বাড়ি । তিনি চাষবাসের পাশাপাশি মাঝেমধ্যে ঠিকাদারিও কাজ করতেন বলে জানা গেছে । মৃতের পরিবারের দাবি চাষে ক্ষতি ও দেনার দায়েই আত্মঘাতী হয়েছেন তাপসবাবু । যদিও শাসকদল নেতৃত্বের দাবি, ওই ব্যক্তির আত্মঘাতী হওয়ার পিছনে চাষবাসের কোনও সম্পর্ক নেই ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাসুদা গ্রামের বাসিন্দা তাপস ভট্টাচার্য্যের বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী শুক্লাদেবী,দুই ছেলে । তাপসবাবুর দুই ছেলে অঙ্কুর ও ইন্দ্রজিৎ বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন । প্রথম পর্বের লকডাউনের সময়েই তাঁদের চাকরি চলে গেছে । তারপর থেকে তাঁরা বাড়িতেই রয়েছে ।পারিবারিক প্রায় ১২ বিঘা জমি রয়েছে তাপসবাবুদের ।
জানা গেছে,শুক্রবার সকালে ভাতার বাজার এসেছিলেন তাপসবাবু । বিকেল তিনটে নাগাদ অসুস্থ অবস্থায় তিনি বাড়ি ফেরেন । বাড়ির লোকজন এনিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করলে তখন তাপসবাবু জানান তিনি বিষপান করেছেন । এরপর তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । কিন্তু ওইদিন বিকেল নাগাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর । শনিবার ময়নাতদন্তের পর দেহটি গ্রামে এনে সৎকার করা হয় ।
মৃতের ভাই প্রসাদ ভট্টাচার্য্যের দাবি, চাষ করার জন্য বেশ কিছু ঋণ হয়ে গিয়েছিল তাঁর দাদার । এদিকে ফসলের ক্ষতি হওয়ায় ওই ঋণ তিনি শোধ করতে পারছিলেন না । সেই কারনে বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর দাদা হতাশায় ভুগছিলেন । শেষে তিনি আত্মহননের পথ বেছে নেই ।
যদিও চাষে ক্ষতির কারনে আত্মঘাতী হওয়ার দাবি মানতে চাননি ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি গোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি বলেন, ‘বাসুদা গ্রামের ওই ব্যক্তির মৃত্যু খুবই দুঃখজনক ঘটনা । আমি ওনার পরিবারকে সমবেদনা জানাই । তবে ওই ব্যক্তির আত্মঘাতী হওয়ার সঙ্গে চাষে ক্ষতির কোনও সম্পর্ক নেই । উনি ঠিকাদারি করতেন । সেই কারনে ঋণ হয়ে থাকতে পারে ।’।