এইদিন ওয়েবডেস্ক,পূর্ব মেদিনীপুর,০৬ অক্টোবর : ধর্ষণ-খুন নয়,পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুরের খুকুরানী পাল শীটের(৪৫) হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে প্রতিবেশী বাড়ির ভাসুর-ভাতৃবধূর অবৈধ সম্পর্ক, এমনটাই দাবি করল পুলিশ । পটাশপুরের ঘটনায় কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেছেন যে প্রতিবেশী শুকচাঁদ মাইতি ও তাঁর শুকচাঁদের ভাইয়ের স্ত্রী নমিতা মাইতির পরকীয়ার কথা ঘুনাক্ষরেও টের পাননি খুকুরানী । একদিন শুকচাঁদের বাড়িতে গেলে তার ভাইয়ের স্ত্রী নমিতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন তিনি । প্রতিবাদও করেছিলেন । আর জানাজানি হওয়ার আশঙ্কাতেই শনিবার গভীর রাতে শুকচাঁদ-নমিতা মিলে খুকুরানীর বাড়িতে চড়াও হয়ে প্রথমে তাকে পিটিয়ে মারার চেষ্টা করা হয় এবং পরে তার মুখে ঢেলে দেওয়া হয় তরল কীটনাশক । যদিও গ্রামবাসীদের দাবি যে বধূ তার মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে ধর্ষণ এবং মারধরের পর মুখে তরল কীটনাশক ঢেলে দিয়েছিল শুকচাঁদ । এসপি জানান, মৃতার পরিবারের তরফে একটা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং তাতে ধর্ষণের কথা উল্লেখ নেই । তবে তিনি এটাও জানান যে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যৌন নির্যাতনের প্রমান পেলে সেই ধারাও এফ আই আরে যোগ করা হবে।
জানা গেছে,পটাশপুর থানার ভূবনমঙ্গলপুর গ্রামের বাসিন্দা খুকুরানী পাল শীটের স্বামী উওম শীট কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন । গ্রামের একটা অস্থায়ী বাড়িতে বসবাস করতেন ওই দম্পতি । তাদের প্রতিবেশী শুকচাঁদ মাইতি । শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে । খুকুরানীর চিৎকার শুনে অনান্য প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে তমলুক হাসপাতালে ভর্তি করে । হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় বধূ নাকি জানিয়ে যান যে তাকে ধর্ষণ, মারধরের পর মুখে তরল কীটনাশক ঢেলে দেয় শুকচাঁদ এবং তাকে সঙ্গ দেয় নমিতাও ।
এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রবিবার ভোর রাতে মৃত্যু হয় খুকুরানী পাল শীটকে । তার মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছতেই ক্ষিপ্ত জনতা শুকচাঁদ মাইতিকে বাঁশ দিয়ে বেদম পেটাতে শুরু করে । তাকে বাঁচাতে গিয়ে ব্যাপক মার খেতে হয় তাঁর ভাইয়ের স্ত্রী নমিতাকেও । খবর পেয়ে ভূবনমঙ্গলপুর গ্রামে পুলিশ গেলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা । শেষ পর্যন্ত পুলিশ শুকচাঁদ-নমিতাকে উদ্ধার করে এগরা হাসপাতালে ভর্তি করে । কিন্তু কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তার মৃত্যু হয় । কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, গনধোলাইয়ের ঘটনায় একটা পৃথক এফ আই আর রজু করা হয়েছে । অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে ।।