শেখ মিলন,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),০৯ জুলাই : সরকারি প্রকল্পের কাজে ঢিলেমি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার ব্লকের সাহেবগঞ্জ-২ পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা । বেশ কিছু মহিলাকেও বিক্ষোভ সমাবেশে সামিল হতে দেখা যায় । মহিলারা পঞ্চায়েত প্রধান বিনয়কৃষ্ণ ঘোষকে ঘিরে ধরে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন । সেই সঙ্গে চলে গালিগালাজ । শুক্রবার দুপুরের দিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পঞ্চায়েত অফিসে । পঞ্চায়েতের কাজকর্ম শিকেয় ওঠে । শেষে খবর পেয়ে পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে ।
জানা গেছে, এদিন দুপুরে সাহেবগঞ্জ-২ পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কিছু গ্রামের শতাধিক মানুষ পঞ্চায়েতের কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হন । তাঁরা প্রধানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন । গ্রামবাসীদের অভিযোগ,উন্নয়নের কাজে পঞ্চায়েত প্রধানের কোনও উদ্যোগ নেই । একাধিক গ্রামের রাস্তাঘাট দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে পড়ে আছে, অথচ সেগুলো সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না । জবকার্ডধারীরা ১০০ দিনের কাজ পাচ্ছেন না । সরকারি আবাস যোজনা নিয়ে অনিয়ম হচ্ছে । এই বিষয়ে প্রধানকে বারবার জানিয়েও কোনও সুরাহা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা।
জানা গেছে,বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য তাঁদের ৫-৬ জন প্রতিনিধিকে নিজের অফিসে আসতে বলেন সাহেবগঞ্জ-২ পঞ্চায়েত প্রধান বিনয়কৃষ্ণ ঘোষ । তারপর ওই প্রতিনিধিদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে চলে আলোচনা । শেষে সমস্যা সমাধানের জন্য সময় চান প্রধান । এই কথা পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জড়ো হওয়া বাকি লোকজনদের কানে যেতেই তাঁরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন । এরপর বিক্ষোভ প্রদর্শনকারী বেশ কিছু মহিলা প্রধানের ঘরের সামনে এসে বসে পড়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে দেন । চলে গালিগালাজ । শেষে খবর পেয়ে পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করে ।
এই বিষয়ে প্রধান বিনয়কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, ‘সরকারি নিয়ম মেনেই পঞ্চায়েতের কাজকর্ম হচ্ছে । উন্নয়নমূলক কাজে কোনও অনিয়ম হয়নি । অথচ দু’চারজনের উস্কানিতে আজ পঞ্চায়েতে এসে কিছু মানুষ অকারন ঝামেলা করল । এমনকি আমাকে হেনস্তা পর্যন্ত করা হয়েছে । আমি ব্লক প্রশাসন ও পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি ।’।