এইদিন ওয়েবডেস্ক,দার্জিলিং,০২ অক্টোবর : পুজোর এক সপ্তাহ আগেও পাহাড়ের চা শ্রমিকদের বোনাসের দাবি পূরণ হয়নি।২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে এখনও রাজি নয় চা বাগানের মালিক কর্তৃপক্ষ । সোমবার বোনাসের দাবি না মেটায় দার্জিলিঙে বনধের ডাক দিয়েছিল শ্রমিক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ। এদিকে আন্দোলনকারীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বিজেপি । দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা আন্দোলন রত শ্রমিকদের ভিডিও শেয়ার করে ফেসবুক পেজে লিখেছেন,’দার্জিলিং এর পাহাড়, তেরাই ও ডুয়ার্স এর প্রতিটি নাগরিক আমাদের চা বাগানের শ্রমিকদের সাথে একাত্ম হয়ে দাঁড়ান।সারা বছর ধরে তারা বৃষ্টি আর জ্বলন্ত রোদে কঠোর পরিশ্রম করে। তারা শুধু একটি মর্যাদাপূর্ণ বোনাস চাচ্ছে, যা তারা তাদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জন করেছে।এটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জির নেতৃত্বে ডব্লিউবি সরকার, ডব্লিউবি শ্রম বিভাগ, এবং চা শিল্প জনগণের চাহিদার প্রতি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানানো জন্য ভাল করবে। আরো বিলম্বের ফলে দুর্যোগ হতে পারে, কারণ জনরোষ দ্রুত বাড়ছে।’
দলীয় সাংসদের পোস্ট রিপোস্ট করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,’আমাদের চা বাগানের শ্রমিকদের সাথে শুধু দার্জিলিংয়ের পাহাড়, তেরাই ও দোয়ারার মানুষ নয় সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের মানুষ একাত্ম হয়ে দাঁড়ালেন।চা বাগানের মালিক মমতা ব্যানার্জি সরকার চা বাগানের শ্রমিকদের ১৬ শতাংশ বোনাস ঘোষণা করেছেন যা শ্রমিক ইউনিয়নের দাবি করা ন্যায্য ২০ শতাংশ বোনাস থেকে যথেষ্ট কম।
বিরোধীদলীয় নেতা হিসাবে আমি ২০ শতাংশ বোনাস ন্যায্য দাবি সমর্থন করি কারণ এটা মর্যাদাপূর্ণ এবং সারা বছর ধরে তাদের কঠোর পরিশ্রমকে সমর্থন করে।’
মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে শ্রমিক ভবনে ফের বোনাস নিয়ে আলোচনায় বসা হয়েছিল। যদিও সেখানেও শ্রমিকদের দাবি পূরণ হয়নি। মালিক কর্তৃপক্ষ ১৬ শতাংশ বোনাস দেবে বলে জানায়। এরপরই আজ বুধবার সকালে দার্জিলিং শহরে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। বুধবার দার্জিলিং স্টেশন থেকে চক বাজার পর্যন্ত মিছিল করা হয়েছে। চক বাজারে সমাবেশও করা হয়। বোনাসের দাবি না মেটা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেই জানানো হয়েছে। আজও দার্জিলিংয়ে বিশাল মিছিল ও সমাবেশ করে আটটি শ্রমিক সংগঠন। মিছিলটি দার্জিলিং রেল স্টেশন থেকে শুরু হয়ে চকবাজার পর্যন্ত যায়। সেখানে সমাবেশ হয়। সমাবেশে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতানেত্রীরা বক্তব্য রাখেন। তাঁরা কোনওভাবেই ২০ শতাংশের কম বোনাসের প্রস্তাব মানবেন না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন শ্রমিক নেতারা।।