এইদিন ওয়েবডেস্ক,বীরভূম,২৯ সেপ্টেম্বর : এক সময় যার নাম শুনে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেত,সেই বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্টর একটা ভিন্ন রূপ দেখলো এলাকার বাসিন্দা । আজ রবিবার সুকন্যা মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে কঙ্কালীতলায় দেবীকে পূজো দিতে গিয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জির অন্যতন ‘স্নেহধন্য’ কেষ্ট । কিন্তু দেবীকে পূজো দেওয়ার সময় তাকে কেঁদে ভাসাতে দেখা যায় । ঠিক কি কারনে তিনি কাঁদলেন তা স্পষ্ট নয় । তবে পূজো শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন,’মেয়ে সুকন্যা,মমতা ব্যানার্জি এবং অভিষেক ব্যানার্জির মঙ্গলের জন্য নাকি দেবী কঙ্কালীশ্বরীর কাছে প্রার্থনা করেছেন । তিনি এও জানান যে কঙ্কালীতলায় কিছু কাজ বাকি আছে সেগুলি তিনি শীঘ্রই করে দেবেন ।
প্রসঙ্গত,গরুপাচার মামলায় ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। ওইদিন বীরভূমের নিচুপট্টি এলাকার বাড়ি তাকে গ্রেফতারের পর আসানসোলে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তুলে আসানসোল সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল অনুব্রতকে । তারপর ২০২৩ সালের ২১ মার্চ অনুব্রতকে দিল্লির তিহাড় জেলে স্থানান্তরিত করা হয় । ওই বছর নভেম্বর মাসে ইডিও তাঁকে গ্রেপ্তার করে । তখন থেকেই তিনি তিহাড় জেলেই বন্দি জীবন কাটাচ্ছিলেন । একই মামলায় মেয়ে সুকন্যাকেও গ্রেফতার করে অনুব্রতের সাথেই রাখা হয় । কিন্তু চার্জশিটের অনুবাদের সমস্যার কারনে দিন কয়েক আগে সিবিআই এবং ইডি, দুই মামলাতেই জামিন মঞ্জুর হয় অনুব্রতের । জামিন পেতেই তিনি সোজা বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় বাড়ি চলে আসেন । বাড়ি ফিরতেই হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেন তিনি । আজও দেবী কঙ্গালীশ্বরীকে পূজো দিতে গিয়ে একই রকমভাবে কাঁদতে দেখা যায় তাকে । অনুব্রত বলেন,’কঙ্কালীশ্বরী মায়ের কাছে আসার জন্য ছটফট করছিলাম । আমার বাড়ির কাছেই মায়ের মন্দির। আর আমি আসব না ? এরপর আমি বীরভূম জেলার সমস্ত মন্দিরেই যাব ।’।