আমিরুল ইসলাম,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান),০৮ জুলাই : বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে একাধিক তালা ভেঙে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটল পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানার খুদরুন গ্রামে । বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিবেশীরা বাড়ির দরজার তালা ভাঙা অবস্থায় দেখে বিষয়টি বুঝতে পেরে বাড়ির মালিক বিজন সামন্তর ছেলেকে ফোনে ঘটনার কথা জানান । খবর পেয়ে তাঁরা বাড়িতে এসে দেখেন সদর দরজাসহ মোট তিনটি তালা ভেঙে ঢুকে লুটপাট চালিয়েছে দুষ্কৃতিরা । সোনার গহনা ও নগদ মিলে কয়েক লক্ষ টাকা চুরি গেছে বলে দাবি করেছেন বাড়ির মালিকের । এনিয়ে মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
খুদরুন গ্রামের বাসিন্দা বিজন সামন্তর বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী রিতাদেবী ও একমাত্র ছেলে স্নেহাশীষ । স্নেহাশীষ বীরভূম জেলার সাঁইথিয়ার একটি চাল কলে কাজ করেন । কর্মসুত্রে তিনি সেখানেই থাকেন। মাসে দু’চারবার বাড়ি ফেরেন ।
রীতাদেবী বলেন, ‘আমার স্বামীর হার্টের রোগী । তাঁকে প্রায়ই ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নিয়ে যেতে হয় । কয়েক দিন ধরে উনি অসুস্থ বোধ করছিলেন বলে গত বুধবার বাড়িতে তালা লাগিয়ে দূর্গাপূরে চিকিৎসকের কাছে ওনাকে নিয়ে গিয়েছিলাম । দূর্গাপুরে আমার এক ননদ থাকেন । রাতে আমরা ওখানেই ছিলাম । তারপর এদিন দুপুর নাগাদ ছেলে ফোন করে বলে বাড়িতে চুরি হয়ে গেছে । তাই তড়িঘড়ি বাড়ি ফিরে আসি ।’
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,এদিন দুপুর নাগাদ এক প্রতিবেশী দেখতে পান বিজন সামন্তর বাড়ির সদর দরজা খোলা অবস্থায় রয়েছে । পাশেই পড়ে রয়েছে ভাঙা তালাটি । এরপর তিনি আশপাশের লোকজনকে ঘটনাস্থলে ডেকে আনেন । তার মধ্যেই এক গ্রামবাসী বিজনবাবুর ছেলে স্নেহাশীষকে ফোনে ঘটনার কথা জানান । খবর পাওয়ার ঘন্টাখানেক পরেই চলে আসেন স্নেহাশীষ ও তাঁর বাবা-মা । তাঁরা ঘরে ঢুকে দেখতে পান ঘরের সমস্ত জিনিসপত্র লন্ডভন্ড অবস্থায় পড়ে রয়েছে । সুটকেসের তালা ভাঙা । আলমারি খোলা । সুটকেস ও আলমারিতে রাখা প্রায় সাত ভরি সোনার গহনা ও ১৫ হাজার টাকা চুরি গেছে বলে জানিয়েছেন বিজনবাবু ।
তবে চুরির ঘটনাটি কখন ঘটেছে এনিয়ে ধন্দ্বে রয়েছেন পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা । স্থানীয়দের দাবি,রাতে চুরি হলে সকালেই বিষয়টি নজরে পড়ত । কিন্তু বিষয়টি জানা যায় দুপুর নাগাদ । তাই দিনে দুপুরেই চুরি হয়েছে বলে অনুমান করছেন পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা । এদিকে এই দুঃসাহসিক এই চুরির ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায় ।।