এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,২৬ সেপ্টেম্বর : হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ এখন দুই ইসলামি জঙ্গি সংগঠন জামাত ইসলামি এবং বিএনপির হাতে । ক্ষমতা হাতে পেয়েই দু’দলের কট্টরপন্থী নেতারা শুনিয়ে দিয়েছিল যে বাংলাদেশ চলবে ইসলামি শরিয়া আইনে ৷ অবশেষে তালিবানের দেখানো রাস্তায় যাত্রা শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশ । কারন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই প্রথম নারী সেনাদের হিজাব পরার অনুমতি দিয়েছে । ২০০০ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নারীদের যোগদানের পর থেকে সেনাবাহিনীতে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এখন চরমপন্থীদের চাপে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের নিয়ম পরিবর্তন করেছে । অনুমান করা হচ্ছে যে ভবিষ্যতে নারী সেনাদের হিজাব বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হবে ।
বাংলাদেশী গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটেন্ট জেনারেলের কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে আদেশ জারি করে বলা হয়েছে যে নারী সৈন্যরা হিজাব পরতে চাইলে তারা পরতে পারে। যদিও এখন নারী সেনা সদস্যদের জন্য হিজাব পরা ঐচ্ছিক করা হয়েছে। বাংলাদেশ নারী অফিসার, নার্সিং স্টাফ এবং অন্যান্য সামরিক কর্মীদের হিজাব পরার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেলের কার্যালয় থেকে জারি করা এক আদেশে বলা হয়েছে, ‘ইচ্ছুক মহিলা কর্মীদের ইউনিফর্মের সাথে হিজাব পরার অনুমতি দেওয়ার জন্য ৩ সেপ্টেম্বর পিএসও সম্মেলনে একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয় ২০০০ সালে। এরপর থেকে নারীদের ইউনিফর্মের উপর হিজাব পরতে দেওয়া হয়নি। অ্যাডজুট্যান্টের অফিস এখন নির্দেশ দিয়েছে যে বিভিন্ন ইউনিফর্মের সাথে হিজাবের নমুনাও প্রদান করা হবে (কমব্যাট ইউনিফর্ম, ওয়ার্কিং ইউনিফর্ম এবং শাড়ি)। হিজাবের নমুনাগুলিতে ফ্যাব্রিক, রঙ এবং আকারও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রস্তাবিত হিজাব পরিহিত নারী সেনা সদস্যদের আগামী ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রঙিন ছবি সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য,১৯৯৭ সালের প্রথম দিকে, নারীরা পুরুষদের সাথে সমানভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অফিসার হওয়ার অনুমতি পায়। ২০০০ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশী নারীরা সেনাবাহিনীতে অফিসার হন এবং ২০১৩ সালে, মহিলারা সৈনিক হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হন। তবে এখনো বাংলাদেশের নারীরা পদাতিক বাহিনী ও আর্মার কোরে অফিসার হতে পারে না।।