এইদিন ওয়েবডেস্ক, লালমনিরহাট (বাংলাদেশ), ২৩ সেপ্টেম্বর : রবিবার বাংলাদেশের লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের কুটিরপাড় বালুর বাঁধ এলাকার তিস্তা নদীর চর থেকে উদ্ধার হয়েছে এক তরুনীর পচাগলা দেহ । তরুনীর দু’হাত ছিল পেছনে বাঁধা অবস্থায় । নখে লাল রঙের নেলপালিশ পরা এবং বাম হাতের তালুতে মেহেদির রঙে লেখা আছে ‘আই লাভ ইউ’৷ মুখমণ্ডল ঝলসে যাওয়া অবস্থায় ছিল। স্থানীয়রা জানিয়েছে, সকালে চৌরাহা এলাকায় নদীর চরে আটকে থাকা অজ্ঞাত তরুণীর মৃতদেহ দেখতে পান তারা। পরে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। খবর পেয়ে আদিতমারী থানা পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। বাংলাদেশের পুলিশ ফের একবার দাবি করেছে যে ভারত থেকে তরুনীর দেহ উজান থেকে ভেসে এসেছে । যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অনুমান যে ওই তরুনী বাংলাদেশের বাসিন্দা এবং তাকে ধর্ষণ বা গনধর্ষণের পর পিছমোড়া করে নদীর জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে ।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা বাজারের হরি মন্দির ও কালি মন্দিরে নির্মীয়মান প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে । পুলিশ রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘটনাস্থলে তদন্তে যায় । পরে পুলিশ সুপার মোহম্মদ আব্দুল জলিল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখতে পান, হরি মন্দিরের কার্তিক প্রতিমার হাতের আঙুল ও ময়ূরের গলা মোঁচড়ানো, ঘোড়ার কান ও আঙুল, অসুরের হাতের আঙুল এবং কালি মন্দিরের গণেশের হাতের আঙুল ও শুঁড় ভাঙা হয়েছে। ওই সময় ঘটনাস্থলে দুইজন ব্যক্তিকে দেখা গেলে পুলিশ তাকে জেরা করতে থাকে। এদের মধ্যে একজনকে স্থানীয়রা এলাকার বলে জানায় । পুলিশের দাবি যে থানায় নিয়ে আসা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার নাম সঞ্জিত বিশ্বাস (৪৫) এবং তিনি ভারতীয় নাগরিক। তার বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ায় এবং তার বাবার নাম নিশি কান্ত বিশ্বাস । যদিও পরে জানা যায় যে ওই পাগল ফরিদপুরের ভাঙ্গা বাজার এলাকারই বাসিন্দা এবং সে মুসলিম সম্প্রদায়ের । যা নিয়ে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়তে হয় বাংলাদেশের পুলিশকে ।
যদিও লালমনিরহাটে তরুনী দেহ উদ্ধারের ঘটনায় দীর্ঘদিন জলেতে থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে মৃতার পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি কেউ। আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উন-নবী জানান, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তরুণীর পরিচয় শনাক্তে বিভিন্ন স্থানে তথ্য পাঠিয়েছে পুলিশ।।