এইদিন ওয়েবডেস্ক,বিহার,২৩ সেপ্টেম্বর : বিহারের পূর্ণিয়া জেলা থেকে লাভ জিহাদের নতুন ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে ৩২ বছর বয়সী মোহাম্মদ জিয়ারুল, নিজেকে শঙ্কর যাদব পরিচয় দিয়ে একটি হিন্দু মেয়েকে ফাঁদে ফেলে এবং পরে তাকে বিয়ে করেন। এর আগে জিয়ারুল ছয়বার বিয়ে করেছিল । ওই হিন্দু নারীকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টাও করা হয়েছিল। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪) অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ণিয়া জেলার সদর থানা এলাকায়। এখানে বুধবার এক হিন্দু নির্যাতিতা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে জানান, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে জিয়ারুলের সঙ্গে তার দেখা হয়। জিয়ারুল তখন শ্রমিকের কাজ করতেন। সে শঙ্কর যাদব নামে নির্যাতিতার বাড়িতে কাজ করতে এসেছিল । ক্রমশ তাদের পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে । মোহাম্মদ জিয়ারুল নিজেকে অবিবাহিত বলে ঘোষণা করে । ২০২৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী, সে নির্যাতিতাকে বিয়ে কর। এরপর কয়েকবার নির্যাতিতার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে। আগস্ট মাস থেকে জিয়ারুলের কর্মকাণ্ডে সন্দেহ হতে থাকে নির্যাতিতার। সে নির্যাতিতাকে বোরখা পরার জন্য চাপ দিতে থাকে । এর সাথে সে মহিলাকে রোজা রাখার এবং নামাজ ইত্যাদি পড়ার পরামর্শও দিতে শুরু করে ।
যখনই আযান হতো, জিয়ারুল নামাজ পড়ত । সে বেশিরভাগ উর্দু ভাষায় কথা বলতে শুরু করে । এনিয়ে প্রশ্ন করলে জিয়ারুল নির্যাতিতাকে মারধর শুরু করে । মাঝে মাঝে মেয়েটিকে ইসলাম গ্রহণের মত পরামর্শও দিত সে । পরে ওই মহিলা জানতে পারে যে নিজেকে শঙ্কর যাদব পরিচয় দেওয়া তার স্বামী আসলে মোহাম্মদ জিয়ারুল এবং তার বাড়ি পূর্ণিয়ার বারসাউনি থানা এলাকায় । এর আগে ৬ বার বিয়ে করেছে সে । এরপর নির্যাতিতা মহিলা থানার দ্বারস্থ হন ।।