এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২২ সেপ্টেম্বর : কর্মচারীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হল পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার এক পশুর চামড়া ব্যবসায়ীর মৃতদেহ ৷ পুলিশ জানিয়েছে,মৃতের নাম শেখ আব্দুল হক (৫৫) ওরফে কটাই। আজ রবিবার সকালে কাটোয়া থানার শ্রীখণ্ড শ্রীপাট এলাকায় রেললাইনের ধারে ওই ব্যবসায়ীর কর্মচারী কুদ্দুস শেখ ওরফে খুদুর বাড়ির একটা ঘরে তার নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ । মৃতের গলায় কালো দাগ থেকে পুলিশের অনুমান যে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে । সন্দেহ যে কুদ্দুস শেখের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল আব্দুল হক । তার জেরেই খুন হতে হয়েছে তাকে । পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ।
জানা গেছে,কুদ্দুস শেখ ওরফে খুদুর অন্যত্র বাড়ি । পশুর চামড়া ব্যবসায়ী শেখ আব্দুল হকের কাছে সে কাজ করত । কুদ্দুস শেখের দুবার বিয়ে । প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর দ্বিতীয় নিকাহ করে সে । দ্বিতীয় পক্ষের দুই নাবালক সন্তান রয়েছে তার । কাজের সুবিধার জন্য শ্রীখণ্ড শ্রীপাট এলাকায় রেললাইনের পাশে ঘর নির্মান করে পরিবার নিয়ে বসবাস করছিল কুদ্দুস শেখ । কর্মচারীর বাড়িতে আনাগোনা ছিল শেখ আব্দুল হকের । স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সেই সূত্রে সে কুদ্দুস শেখের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে । আর একারণেই তাকে প্রাণ খোয়াতে হয়েছে ।
মৃতের স্ত্রী নাসিরা বিবি জানিয়েছেন,সন্ধ্যায় বাড়িতেই ছিলেন তার স্বামী । সেই সময় তার মোবাইলে একটা ফোন আসলে তার স্বামী বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান । তারপর তিনি আর বাড়ি ফেরেনি । বারবার কল করলে মোবাইল সুইচ অফ ছিল । আজ সকালে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন ।
জানা গেছে,মৃতের স্ত্রীর কাছে ঘটনার কথা শোনার পর শেখ আব্দুল হকের সন্ধানে নেমে পড়ে পুলিশ । পরে কুদ্দুস শেখের বাড়িতে পুলিশ গেলে দেখে বাড়িতে কেউ নেই । তারপর পুলিশ ঘরে ঢুকতেই একটা খাটের উপর ওই ব্যবসায়ীর নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে । পাশের ধানক্ষেত থেকে তাঁর বাইক ও জুতো পেয়েছে পুলিশ। মৃতের গলায় মোটা কালো দাগ দেখে পুলিশের সন্দেহ যে ফোন করে ডেকে এনে গলায় কিছু পেঁচিয়ে ধরে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে । পুলিশ মৃতের কর্মচারীর সন্ধানে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ।।