এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাঁকুড়া,২১ সেপ্টেম্বর : কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তরুনী চিকিৎসক ‘তিলোত্তমা’র ধর্ষণ -খুনের ন্যায়বিচারের দাবি করায় ২ কলেজ ছাত্রীকে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বাঁকুড়ার তৃণমূল নেতা শ্যামল সাঁতরার বিরুদ্ধে । বাঁকুড়া জেলার সারদামনি মহিলা কলেজের ঘটনা । অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ওই কলেজের বিভাগীয় প্রধান । যখন গোটা বিশ্ব ‘তিলোত্তমা’র ধর্ষণ-খুনের ন্যায়বিচারের দাবিতে সরব হচ্ছে,সেই সময় ওই তৃণমূল নেতার এহেন কর্মকাণ্ডে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল । যদিও অভিযুক্ত শ্যামল সাঁতরা তার সাফাইয়ে ওই দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে কোনো একটা নির্দিষ্ট দলের হয়ে চাঁদা তোলার অভিযোগ তুলেছেন বলে জানা গেছে । যদিও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর এই দাবিকে ‘মিথ্যা’ বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা ।
জানা গেছে,বাঁকুড়া জেলা সারদামনি মহিলা কলেজের ওই দুই ছাত্রীর নাম অপর্না মণ্ডল ও প্রেয়সী টুডু । তারা ভূগোল বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্রী। দিন কয়েক আগে যখন তিলোত্তমা’র ধর্ষণ -খুনের ন্যায়বিচারের দাবিতে গোটা রাজ্য উত্তাল, তখন তারা কলেজে একটা প্রতিবাদ কর্মসূচি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ । এরপর ওই দুই পড়ুয়া কলেজের গেটের বাইরের রাস্তায় তাঁরা প্রতিবাদী স্ট্রিট পেইন্টিং করেন। মূলত এটাই ছিল তাদের অপরাধ । আর তাদের এই ‘অবাধ্যতার’ শাস্তি দেন খোদ রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বাঁকুড়ার তৃণমূল নেতা শ্যামল সাঁতরা । দুই ছাত্রীকে তিনি রীতিমতো অপমান করে ক্লাস থেকে বের করে দেন। বিষয়টি নিয়ে ওই দুই ছাত্রী কলেজের টিচার ইন চার্জের দ্বারস্থ হলেও কোনো সুরাহা হয়নি । এমতবস্থায় দুই ছাত্রী তাদের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে চরম আশঙ্কার মধ্যে রয়েছেন।
আজকেও কলেজের পঞ্চম সেমিস্টারের দুই ছাত্রীকে একই কারণে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্যামল সাঁতরার বিরুদ্ধে । তিনি নাকি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে আরজি করের প্রতিবাদীরা তার ক্লাস করতে পারবেনা । ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন পড়ুয়া।।