এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,১৭ সেপ্টেম্বর : ফরিদপুরের ভাঙ্গা বাজার এলাকায় দেবদেবীর প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল দিন চারেক আগে । ওই ঘটনায় মূল আসামা এখনো অধরা ৷ বিষয়টি ধামাচাপা দিতে রাস্তা থেকে একজন পাগলকে ধরে এনে তার ঘাড়ে যাবতীয় দায় চাপিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের পুলিশ । তবে পুলিশের এই ষড়যন্ত্র এখানেই শেষ নয়, ওই পাগলকে ভারতীয় চর বলে প্রমান করার চেষ্টা চলছে এখন । সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফরিদপুর জেলা পুলিশের দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয় যে ওই অপ্রকৃতস্থ ব্যক্তি জিজ্ঞাসাবাদে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক বলে দাবি করেছে ।
ভয়েস অফ বাংলাদেশি হিন্দাস পুলিশের এই ভূমিকার তীব্র নিন্দা করে বলেছে,’এখন বাংলাদেশ পুলিশ হিন্দুদের নিয়ে নাটক শুরু করেছে। মন্দিরে হামলাকারীকে ধরতে না পেরে তারা রাস্তা থেকে একজন পাগলকে ধরেছে এবং সে নাকি একজন ভারতীয় হিন্দু এবং একজন ‘র'(RAW)এর এজেন্ট । তিনি মন্দির ভাংচুর করেন। বাহ বাংলাদেশ পুলিশ। নাটকটা দারুণ ছিল। পরের বার ইউনূসের মতো নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হবেন। বাংলাদেশ পুলিশ- ওয়াখ থুঃ ।’
উল্লেখ্য,গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা বাজারের হরি মন্দির ও কালি মন্দিরে নির্মীয়মান প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে । পুলিশ রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘটনাস্থলে তদন্তে যায় । পরে পুলিশ সুপার মোহম্মদ আব্দুল জলিল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখতে পান, হরি মন্দিরের কার্তিক প্রতিমার হাতের আঙুল ও ময়ূরের গলা মোঁচড়ানো, ঘোড়ার কান ও আঙুল, অসুরের হাতের আঙুল এবং কালি মন্দিরের গণেশের হাতের আঙুল ও শুঁড় ভাঙা হয়েছে। ওই সময় ঘটনাস্থলে দুইজন ব্যক্তিকে দেখা গেলে পুলিশ তাকে জেরা করতে থাকে। এদের মধ্যে একজনকে স্থানীয়রা এলাকার বলে জানায় । পুলিশের দাবি যে থানায় নিয়ে আসা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার নাম সঞ্জিত বিশ্বাস (৪৫) এবং তিনি ভারতীয় নাগরিক। তার বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ায় এবং তার বাবার নাম নিশি কান্ত বিশ্বাস । বিষয়টি ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোহাম্মদ মোকছেদ হোসেন নিশ্চিত করে বলেন, সঞ্জিত বিশ্বাসের নামে ভাঙ্গা থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। সোমবার দুপুর তিনটার দিকে তাকে ১৫১ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।’ যদিও পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়ায় ভরসা রাখতে পারছে না এলাকার হিন্দুরা । তাদের দাবি যে ওই পাগল ব্যক্তি নয়,বরঞ্চ আরও একজন ব্যক্তি সেখানে ছিল এবং ওই ব্যক্তিই প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনার প্রকৃত আসামি ।।