এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,১৫ সেপ্টেম্বর : গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণ বাঁচিয়ে হেলিকপ্টার চড়ে ভারতে পালিয়ে আসেন । তারপর শেখ হাসিনার বাসভবন ও জাতীয় সংসদ ভবনে ব্যাপক লুটপাট চালায় জামাতের মহিলা ও পুরুষ সদস্যরা । হাসিনার বাসভবনের টিভি,সোফা, আসবাবপত্র থেকে শুরু করে হাঁস-মুরগি-খরগোস পর্যন্ত লুটপাট চালানো হয় । শুধু তাইই নয়, মহিলাদের ব্লাউজ, ব্রা প্রভৃতি অন্তর্বাস পর্যন্ত লুট করে ছবি তোলে জঙ্গিরা । পাশাপাশি জাতীয় সংসদ ভবনে ব্যাপক লুটপাট চলে সেদিন । বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, সংসদ ভবনের সরকারি ও ব্যক্তিগত তহবিল মিলিয়ে প্রায় ৯০ লাখ টাকা লুট হয়ে গেছে সেদিন । সম্প্রতি (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদ ভবনের ভারপ্রাপ্ত সচিব (অতিরিক্ত সচিব, কমিটি সহায়তা অনুবিভাগ) জেবুন্নেছা করিম।সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সভায় লুট হওয়া অর্থ ফেরত পেতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে । এছাড়াও সংসদ ভবনের বিভিন্ন অফিস, উপ-অনুচ্ছেদ এবং অনুচ্ছেদে ক্ষতিগ্রস্ত ও চুরি যাওয়া জিনিসপত্রের তালিকা প্রস্তুত করে প্রতিটি বিভাগের প্রধানের কাছে জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভায় জাতীয় সংসদ ভবনের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের নিজ নিজ বিভাগের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তারা জরুরি ভিত্তিতে কিছু মেরামত কাজের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।সভায় সংসদ ভবন, সংসদ সদস্য ভবন (মানিক মিয়া এবং নখালপাড়া), পুরাতন এমপি হোস্টেল, মন্ত্রী হোস্টেল, সচিব হোস্টেল এবং সংসদ ভবন আবাসিক এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করতে তিনটি কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়াও, উপরোক্ত এলাকা সমূহের ভাঙা, হারানো এবং ক্ষতিগ্রস্ত জিনিসপত্র পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিটিগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত এবং স্থানে স্তূপীকৃত জিনিসপত্র পরিদর্শন করে শপথ কক্ষে স্থানান্তর করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জাতীয় সংসদ ভবনের ক্ষতিগ্রস্ত কম্পিউটার, প্রিন্টার, স্ক্যানার, ইন্টারনেট সংযোগ, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, লাইন এবং সেট জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য যে, ৫ আগস্ট প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরপরই হাজার হাজার মানুষ কারফিউ অমান্য করে সংসদ ভবনে ঢুকে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে, সংসদের সিঁড়ির সামনে হাজার হাজার দুষ্কৃতীর ভিড় জমে যায়। কেউ প্রধান ফটক দিয়ে, কেউ আবার সীমানা প্রাচীর টপকে ভেতরে প্রবেশ করেন। অনেকে সংসদ সদস্যদের আলোচনা কক্ষে ঢুকে পড়ে এবং আসনে বসে ছবি তোলে। সংসদ কক্ষের মঞ্চে দাঁড়িয়ে উল্লাস করে ।।