এইদিন ওয়েবডেস্ক,ওয়াশিংটন,১৪ সেপ্টেম্বর : বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর চলা ইসলামি কট্টরপন্থীদের অবর্ণনীয় ন্যাক্কারজনক হামলা নিয়ে এখনো পর্যন্ত মুখ খোলেনি কংগ্রেস । ‘মুসলিম তোষামোদ’-এর রাজনীতি করা কংগ্রেসের এই বিষয়ে ভন্ডামি ফের প্রকাশ্যে এল । এবারে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর আমেরিকা সফরের সময় এক সাংবাদিক বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিককে মারধর পর্যন্ত করেছে রাহুল গান্ধীর দল । ওই ভন্ডের দল এখানেই থেমে থাকেনি, মারধরের পর তারা ফোন ছিনতাই করে হামলাত ভিডিও পর্যন্ত ডিলিট করে দিয়েছে বলে অভিযোগ । ইন্ডিয়া টুডে সংবাদদাতা রোহিত শর্মা অভিযোগ করেছেন যে তিনি ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেস (আইওসি) সভাপতি স্যাম পিত্রোদাকে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। এরপর রাহুল গান্ধীর দল ভিডিওটি মুছে দিতে বলে। তিনি তা না করলে তাকে মারধর করা হয় এবং তার ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ফোন থেকে সব ছবি এবং ভিডিও মুছে ফেলেছে।
রোহিত শর্মা জানিয়েছেন যে তিনি ৭ সেপ্টেম্বর রাহুল গান্ধীর সফর কভার করছেন। যেখানে তিনি সফর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে স্যাম পিত্রোদার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি বলেছেন যে তিনি ইতিমধ্যে স্যাম সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। রাহুল গান্ধীর সফর সম্পর্কে জানাতে স্যাম সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা সময় দেন। রোহিত বলেছেন যে তিনি যথাসময়ে কার্লটন হোটেলে পৌঁছেছেন। যেখানে আগে থেকেই ৩০ জন উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই শুরু হয় স্যামের সাক্ষাৎকার। রোহিত শর্মা বলেছেন যে স্যাম চারটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। কিন্তু তারপর তাকে শেষ প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘বাংলাদেশে হিন্দুদের হত্যা করা নিয়ে মার্কিন সাংসদের সঙ্গে কি রাহুল গান্ধী আলোচনা করবেন?’ এর উত্তরে স্যাম বলেন, এটা নির্ভর করে রাহুল গান্ধী এবং সাংসদরা কোন বিষয়ে কথা বলবেন। এর পরে, কক্ষে উপস্থিত এক ব্যক্তি চিৎকার করে বলেন যে এই প্রশ্নটি ‘বিতর্কিত’। এই প্রশ্নের পর রাহুল গান্ধীর দল আমার ফোন কেড়ে নেয়। এবং তারা ‘থাম-থাম’ চিৎকার করতে থাকে। স্যাম এবং আমি দুজনেই এতে হতবাক হয়ে গেলাম। এর পরে তিনি দ্রুত রাহুলের সাথে দেখা করতে স্যামকে বিমানবন্দরে পাঠান। তারপর তারা আমার ফোন কেড়ে নেয়। এবং ফোন থেকে সমস্ত ফটো এবং ভিডিও মুছে ফেলেছে। রোহিত শর্মা আরও জানিয়েছেন যে এর পরেও তিনি স্যামের সাক্ষাৎকার নিতে চেয়েছিলেন কিন্তু কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি।
এই বিষয়টি উল্লেখ করে জম্মু ও কাশ্মীরে এক জনসভায় রাহুল গান্ধীকে তীব্র আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । প্রধানমন্ত্রী বলেন,তারা বলেছে তিনি (রাহুল গান্ধী) প্রেমের দোকান চালান বলে দাবি করেন। কিন্তু আমাদের দেশের সাংবাদিকদের সঙ্গে কংগ্রেস আমেরিকায় নিষ্ঠুর আচরণ করেছে। আমেরিকায় এক ভারতীয় ছেলেকে অপমান করা হল। আজ আমরা পত্রিকায় এই খবর পড়লাম। এটি কি এমন একটি বিষয় যা গণতন্ত্রে সংবিধানের মর্যাদাকে উন্মোচিত করে? আমেরিকার মাটিতে একজন ভারতীয় সাংবাদিককে মারধর করে আপনি কি ভারতের মর্যাদা বাড়াচ্ছেন ?’
ইন্ডিয়া টুডে টিভির সঙ্গে কথা বলেছেন স্যাম পিত্রোদা। এ ঘটনা সম্পর্কে তিনি অবগত নন বলে জানান। সেদিন রোহিতের সঙ্গে ভালো কথা হয়েছিল। তিনি বলেন, এ ধরনের কিছু থাকলে তদন্ত করে দেখা হবে। যেই দোষী, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, স্যাম বলেছিলেন যে রোহিতের সাথে আগে কথা বলা উচিত ছিল।।