এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৪ সেপ্টেম্বর : স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চে আচমকা হাজির হয়ে দাবিদাওয়া সহানুভূতির সঙ্গে দেখার আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি । আজ শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ আচমকা স্বাস্থ্যভবনের সামনে পৌঁছে যান মমতা । মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে আন্দোলনকারীরা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ শ্লোগান দেন । তার মাঝেই একেবারে ঠান্ডা স্বরেই জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী । এর পর ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ শ্লোগানের মধ্যে হাতে মাইক নিয়ে বলতে শুরু করেন তিনি । মমতা ব্যানার্জি বলেন, ‘স্লোগান দিন, আমার আপত্তি নেই। কিছু কথা বলব, ধৈর্য ধরে শুনুন। সেফটি, সিকিওরিটি বারণ থাকা সত্ত্বেও আমি ছুটে এসেছি কারণ আমি আপনাদের আন্দোলনকে কুর্নিশ জানাই।’ তিনি বলেন,’আপনারা যেভাবে বসে রয়েছেন, আমার কষ্ট হচ্ছে। আজ ৩৩-৩৪ দিন, আমিও রাতের পর রাত ঘুমাইনি। আপনারা রাস্তায় থাকলে, আমাকেও পাহারাদার হিসেবে জেগে থাকতে হয়। এত ঝড়বৃষ্টি, দুর্যোগের মধ্যে আপনারা অনেক কষ্ট পেয়েছেন। আর কষ্ট না করে, আপনারা যদি কাজে ফিরতে চান, আমি কথা দিচ্ছি, আপনাদের দাবিদাওয়া, আমি কথা বলে, সহানুভূতির সঙ্গে দেখব।’
এরপর তিনি বলেন,’আমি একা সরকার চালাই না। মুখ্যসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, ডিজি রয়েছেন। আপনাদের দাবি নিয়ে আমি ভাবব। যদি কেউ দোষী হন, তিনি নিশ্চয়ই শাস্তি পাবেন। আমি চাই তিলোত্তমার বিচার হোক। সিবিআই-কে অনুরোধ করব, তাড়াতাড়ি বিচার হোক। তিন মাসের মধ্যে ফাঁসি হোক, আপনাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে অনুরোধ করছি ।’
পাশাপাশি রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা করে মমতা ব্যানার্জি বলেছেন,’নতুন করে রোগী কল্যাণ সমিতি তৈরি হবে । তাতে অধ্যক্ষদের চেয়ারম্যান করব, জুনিয়র ডাক্তাররাও সদস্য হবেন, সিনিয়র ডাক্তারও থাকবেন, নার্সও থাকবেন, একজন জনপ্রতিনিধি এবং পুলিশ থাকবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ সেই সাথে আন্দোলনকারী ডাক্তার পড়ুয়াদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,’১৭ তারিখেও শুনানি আছে। আমি চাই না, কোনও ক্ষতি হোক আপনাদের।’ তবে তিনি আন্দোলনকারী ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেবেন না বলেও আশ্বাস দিয়েছেন । এদিকে ডাক্তার পড়ুয়ারাও জানিয়ে দিয়েছেন যে তারা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত কিন্তু তাদের আগের ৫ দফা দাবি থেকে সরে আসছেন না । পাশাপাশি ‘তিলোত্তমা’র ন্যায়বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ।।