এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাঁকুড়া,১৪ আগস্ট : ফের একটা কুকর্মে নাম জড়াল এক তৃণমূল নেতার। এবারে বছর ঊনিশের এক তরুনীকে নিজের বাড়িতে এক সপ্তাহ ধরে আটকে রেখে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে বাঁকুড়া জেলার নারায়ণ মিত্র ওরফে ঝন্টু নামে ৬০ বছর বয়সী শাসকদলের এক নেতা । ধৃত ঝন্টু সোনামুখী পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ তথা সোনামুখী ব্লক তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি -এর সভাপতির দায়িত্বে রয়েছে বলে জানা গেছে । এই ঘটনায় ফের একবার চরম অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের শাসকদল । এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হতেই নারায়ণ মিত্র ওরফে ঝন্টুকে তড়িঘড়ি পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে । এর দু’দিন আগে খুন এবং আন্তরাজ্য জাল নোট পাচার চক্র চালানোর মত মারাত্মক অপরাধে দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে মালদা জেলার কালিয়াচক থানার মোজমপুরের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তৃণমূল নেতা আসাদুল্লাহ বিশ্বাস ।
বাঁকুড়ার সোনামুখীর ঘটনায় জানা গেছে,নারায়ণ মিত্র ওরফে ঝন্টুর সঙ্গে নির্যাতিতা তরুনীর বাবার দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক রয়েছে । সেই সুবাদে সোনামুখি থানার আমচুড়া গ্রামে ঝন্টুর বাড়িতে যাতায়ত ছিল পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা নির্যাতিতা তরুনীর । দিন পনেরো আগে ঝন্টুর স্ত্রী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় । তারপর থেকে সে একাই বাড়িতে থাকত । একদিন ঝন্টুর বাড়িতে যাওয়ার পর উধাও হয়ে যায় ওই তরুনী । তারপর সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি । দিন সাতেক পর বাড়ি ফিরে বাবা-মায়ের কাছে ঝন্টুর কুকর্মের কথা সব খুলে বলে । অভিযোগ যে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তরুনীকে প্রথমে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেয় নারায়ণ মিত্র ওরফে ঝন্টু । তাতে রাজি না হলে সে তরুনীর পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে শুরু করে । এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে তরুনীর পরিবার । শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার নিজেই সোনামুখী থানায় গিয়ে এফআইআর দায়ের করেন নির্যাতিতা তরুনী । শুক্রবার ওই বৃদ্ধ তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয় । এদিকে আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তরুনী চিকিৎসকের ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের তোলপাড়ের মাঝে এই বিষয়টি নিয়ে আর বিতর্ক দানা বাঁধতে দেয়নি পুলিশ । অভিযোগ দায়েরের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে ।।