এইদিন ওয়েবডেস্ক,গুজরাট,১৩ সেপ্টেম্বর : গুজরাটের কচ্ছে গণেশের মূর্তি ভাঙচুরের অভিযোগে এক মৌলানাসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মৌলানাকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তার মাদ্রাসায় তল্লাশি চালায় । সেই সময় কিছু ধারাল অস্ত্র উদ্ধার হয় । পুলিশ অস্ত্রগুলো বাজেয়াপ্ত করেছে এবং মাদ্রাসায় অস্ত্র রাখার কারণ অনুসন্ধান শুরু করেছে।
গত ১০ সেপ্টেম্বর, গুজরাটের কচ্ছ জেলার নখত্রানা তালুকের কোটদা-জাদোদর গ্রামে একটি গণপতি মূর্তি ভাঙচুর করা হয় এবং গ্রামের মন্দিরে লাগানো হয় ইসলামি পতাকা। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় একজন মৌলানা ও তিন নাবালকসহ ৮ জন জড়িত ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, মামলার তদন্তকালে অভিযুক্ত মৌলানার বাড়ি ও মাদ্রাসা থেকে তিনটি ‘ধারালো অস্ত্র’ পাওয়া গেছে।
কচ্ছ পশ্চিমের পুলিশ সুপার সাগর বাগমার বলেছেন যে ১০ সেপ্টেম্বর নখত্রানা তালুকের কোটদা-জোদোদর গ্রামে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে । এরপর গভীর রাতে নখতরানা থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। সাগর বাগমার আরও বলেন, পাথর ছোড়ার ফলে একটি প্যান্ডেলে ভগবান গণেশের মূর্তি নষ্ট হওয়ার খবর পাওয়া মাত্রই তদন্ত শুরু করে স্থানীয় পুলিশ। স্থানীয় লোকজন পুলিশকে আরও জানায়, কিছু লোক কাছের একটি মন্দিরে তাদের ধর্মীয় পতাকা লাগিয়েছে।
সাগর বাগমার জানান, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি জনগণকে গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে এমন ভিডিও শেয়ার করার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও সতর্ক করা হয়েছে।
এর আগে, ৮ সেপ্টেম্বর রাতে গুজরাটের সুরাটের সৈয়দপুরা এলাকার গণেশ প্যান্ডেলে কিছু মুসলিম পাথর ছুড়েছিল বলে অভিযোগ। যারা পাথর নিক্ষেপ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ ২৮ জনকে গ্রেফতার করে। এছাড়াও, আরও ৩০০ অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের নামও জানিয়েছে পুলিশ। অনেক আসামির অবৈধ নির্মাণেও বুলডোজার ব্যবহার করা হয়েছে।।