এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১২ সেপ্টেম্বর : আরজি কর হাসপাতালের তরুনী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ন্যায়বিচারের দাবিতে আন্দোলন করা জুনিয়র চিকিৎসাদের সঙ্গে আজ নবান্নের সভাগৃহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল । কিন্তু ডাক্তারি পড়ুয়াদের অন্যতম দাবি বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং বা সরাসরি সম্প্রচার করতে অস্বীকৃতি জানানো হলে ওই বৈঠক ভেস্তে যায় । রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া হল,’লাইভ স্ট্রিমিংয়ে মুখোশ খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল তাই রাজি হননি মুখ্যমন্ত্রী ।’
বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক এবং আজ নবান্নের সভাগৃহে বেশ কিছু চেয়ার পেতে রাখার ছবি এক্স-এ পোস্ট করে শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষ করেছেন, :মুখ্যমন্ত্রী যে ঘরে বসে অপেক্ষা করছিলেন, সেই ছবি সরকার প্রকাশ করলো আদালতকে প্রভাবিত করতে।’ এরপর তিনি লিখেছেন,’লাইভ স্ট্রিমিংয়ের সাথে সুপ্রিমকোর্টের রায়ের কোনো সম্পর্ক নেই। সুপ্রিমকোর্টের শুনানি তো লাইভস্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে সারা দেশ দেখছে।নবান্নের সভাঘরে যে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল তার সাথে আদালত অবমাননার কোনো সম্পর্ক নেই। নবান্নের সভাঘরে কি বিচার প্রক্রিয়া চলার কথা ছিল ! পুরোটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাটক, লাইভ স্ট্রিমিংয়ে আসলে ওনার মুখোশ খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল তাই জুনিয়র ডাক্তারদের ন্যায্য দাবি মানলেন না। জুনিয়র ডাক্তাররা স্বাস্থ্য দফতরের দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা করতেন, তাতেই স্বাস্থ্য মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়ে যান।
তিনি আরও লিখেছেন,’আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই চান না এই অচলাবস্থা কাটুক। পরবর্তী শুনানির আগে রাজ্যের উকিল কপিল সিব্বলের হাতে ভুয়ো যুক্তির অস্ত্র তুলে দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। মুখ্যমন্ত্রী ‘সিমপ্যাথি কার্ড’ ব্যবহার করছেন এই বলে যে বৈঠক হলে নাকি নির্যাতিতার জন্য নীরবতা পালন করতেন, অথচ বিধানসভায় অপরাজিতা বিল আনার সময়ে নির্যাতিতার জন্য কোনো শোকপ্রস্তাব ছিলনা।
দ্বিতীয়তঃ উনি নাকি দু দিন ঘন্টা দুয়েক অপেক্ষা করেছেন, কিন্তু অভয়ার মা বাবা, সহকর্মীগণ, নাগরিক সমাজ আজ ৩৩ দিন অপেক্ষায় রয়েছেন, সে ব্যাপারে ওনার কি মতামত।’ সব শেষে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন,’যে মুখ্যমন্ত্রী প্রসাশনিক বৈঠক লাইভ স্ট্রিমিং করেন, তাহলে এত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক লাইভ স্ট্রিমিং করতে তাঁর আপত্তি কোথায়? আইনের যে যুক্তি দিচ্ছেন তা পুরোপুরি ভুয়ো। মুখ্যমন্ত্রী আসলে লাইভ স্ট্রিমিং করতে ভয় পেয়েছিলেন এই ভাবনা থেকে যে প্রাথমিক পুলিশি তদন্তে যে ফাঁকফোকর রয়েছে, তদন্তের নামে প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা ও তাড়াহুড়ো করে দেহ দাহ করা হয়েছে, এই সংক্রান্ত কেনো প্রশ্ন উঠলে উনি জবাব দিতে পারতেন না।’।