এইদিন ওয়েবডেস্ক,মান্ড্যা(কর্ণাটক),১২ সেপ্টেম্বর : গণপতি বিসর্জন মিছিলে মুসলিমদের পাথর ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ ঘিরে কর্ণাটকের মান্ডিয়ার নাগামঙ্গলার বদরিকপ্পলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে । উত্তেজিত জনতা দোকানপাট, শোরুম, কাপড়ের দোকান, যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। সড়কে পার্কিং করা মোটরসাইকেলও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এর পরে, বিক্ষুব্ধ হিন্দুরা থানার সামনে গণেশ মূর্তি রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করে ।
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে ৷ আজ নাগমঙ্গলায় স্কুল ও কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা কালেক্টর ডঃ কুমার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। এ সময় তিনি বলেন, নাগমঙ্গলায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির কারণে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে। বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। রাজ্যের আইন- শৃঙ্খলার এডিজিপি হিতেন্দ্র পরিদর্শন করে পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য পান।
জানা গেছে,মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা দিয়ে গনেশ প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রা নিয়ে যাওয়ার বিরোধিতা করা হয়েছিল । কিন্তু বিকল্প রাস্তা না থাকায় শোভাযাত্রা ওই রাস্তা দিয়েই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বুধবার সন্ধ্যায় । তখন দুর্বৃত্তরা গণেশ প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রায় শুধু পাথর ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেনি, কিছু অস্ত্রও রেখে পালিয়ে যায়। এরপর পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে এবং দোকান ও দোকানের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখা অনেক বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পালটা মুসলিমরাও অনেক দোকানপাট, বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয়। দমকল বাহিনী আগুন নেভানোর জন্য ছুটে আসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ দুই সম্প্রদায়ের ২৮ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে এবং তাদের নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
কর্ণাটকের মন্ত্রী চালুভারায়স্বামী বলেছেন যে মান্ডিয়ার নাগামঙ্গলায় গণেশ প্রতিমা বিসর্জনের সময় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে। সম্পত্তির ক্ষতি বা জীবনহানি এড়িয়ে চলুন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশকে তারা নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী মান্ডিয়ার নাগামঙ্গলার বদরিকোপ্পালে গণেশ প্রতিমা বিসর্জনের সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, আমি মান্ড্যা দাঙ্গা মামলা নিয়ে এসপির সাথে কথা বলেছি। সন্ধ্যায় শোভাযাত্রায় চলাকালে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এখন সিদ্দারামাইয়া সরকার কিছু গোষ্ঠীকে জাগ্রত করতে কাজ করছে । আর এ থেকেই তাদের মধ্যে এক ধরনের অহংকার শুরু হয়। সরকারের উচিত এ ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।।