এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,১১ সেপ্টেম্বর : ভারত থেকে খাদ্যশস্যসহ অনান্য পণ্যসামগ্রী না সরবরাহ হলে যারা চোখে শর্ষে ফুল দেখে, যাদের নিজের দেশে দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসা হয় না এবং প্রাণ বাঁচাতে ভারতের দ্বারস্থ হয়,সেই বাংলাদেশের মুসলিমদের সিংহভাগই আজ ভারত বিদ্বেষী । ক্রিকেট ম্যাচে বিশ্বের যেকোনো দেশের কাছে টিম ইন্ডিয়া হারলে বাংলাদেশের রাজপথে পৈশাচিক উল্লাসে মেতে ওঠে বাংলাদেশি মুসলমানরা,আর তারাই ভারতের তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতার সুযোগ নিয়ে চাকরির সন্ধানে গুজরাট,উত্তরপ্রদেশ,তামিলনাড়ু,পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্যে পাড়ি দিতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে ভারতে । কয়েক কোটি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ভারতে ঘাঁটি গেড়ে সন্ত্রাসবাদ সহ বিভিন্ন দুষ্কর্ম্মে লিপ্ত হচ্ছে । সেই বাংলাদেশের এক জঙ্গি নেতা প্রকাশ্য সভায় মন্তব্য করেছে যে তারা ভারতের সাথে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে চায় । ওই জঙ্গি নেতার নাম আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা পদে রয়েছে । মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা টাউন হল মাঠে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় ওই নেতা মন্তব্য করেছে,’ভারত এতদিন বাংলাদেশের একটি বিশেষ দলের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছে, তাদের সঙ্গে কথা বলেছে । কিন্তু এখন আর তা হবে না। এখন তাদেরকে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে কথা বলতে হবে সম্মান দিয়ে । বাংলাদেশের মানুষও ভারতের সঙ্গে কথা বলবে চোখে চোখ রেখে, মাথা উঁচু করে।’ সভায় আর এক সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেছে, আমরা এসেছি আপনাদের মতামত শুনতে। আপনারা যেভাবে মতামত দেবেন, আমরা সেভাবেই সামনের বাংলাদেশের রূপরেখা দেব।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে নারায়ণগঞ্জ, রাঙামাটি, সিলেট, কিশোরগঞ্জ, মেহেরপুর, পটুয়াখালী, পাবনা ও কুড়িগ্রামে একযোগে এ ধরনের মতবিনিময় সভার আয়োজন করে কথিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা । এদিকে তারই মাঝে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সভা শুরুর আগে কুমিল্লা টাউন হল মাঠের পশ্চিম দিকে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে । পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়া সভার শুরুতে শিক্ষার্থীদের দুটি পক্ষ বাকবিতণ্ডা থেকে তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার মাইকে বারবার অনুরোধ জানিয়ে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে । কিন্তু পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে ।।