এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,১১ সেপ্টেম্বর : সাম্প্রতিক সময়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত রাজীব গান্ধীর স্ত্রী সোনিয়া ও ছেলে রাহুলকে নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন সামনে আসছে । ওই দু’জনের সম্পর্কে একাধিক অতীতের ভয়ঙ্কর কাহিনী তুলে ধরে কংগ্রেসকে বিপাকে ফেলে দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত নিউজ পোর্টাল “ব্লিটজ” এর সম্পাদক সালাহ উদ্দিন শোয়েব চৌধুরী । বিশেষ করে ভারত বিরোধী রাষ্ট্র চীন এবং কুখ্যাত মার্কিন কোটিপতি জর্জ সোরসের সঙ্গে রাহুলে সখ্যতার উদ্দেশ্য নিয়ে জোর চর্চা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে । এরই মাঝে ভারত বিদ্বেষী তথা উগ্র ইসলামপন্থী মার্কিন নেত্রী ইলহান ওমরের সাথে রাহুল গান্ধীর ছবি ভাইরাল হয়েছে । যা নিয়ে কংগ্রেসের ‘যুবরাজ’ ও কংগ্রেস পার্টির মানসিকতা ও উদ্দেশ্য নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠছে । অনেকে বিষয়টি রাষ্ট্রের নিরাপত্তার সঙ্গে জুড়ে রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করছেন।
বিজেপি নেতা অমিত মালব্য ওই ছবিটি এক্স-এ পোস্ট করে লিখেছেন,’ভারতের বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইলহান ওমরের সাথে দেখা করেছেন, একজন পাকিস্তান মদতপুষ্ট ভারত বিরোধী কণ্ঠস্বর, একজন উগ্র ইসলামপন্থী এবং স্বাধীন কাশ্মীরের একজন উকিল ৷এমনকি পাকিস্তানি নেতারাও এই ধরনের উন্মত্ত উপাদানের সাথে দেখা হওয়ার বিষয়ে আরও সতর্ক হন । কংগ্রেস এখন প্রকাশ্যে ভারতের বিরুদ্ধে কাজ করছে ।’
প্রসঙ্গত,২০২২ সালের জুন মাসে মার্কিন ডেমোক্রেটিক কংগ্রেসওম্যান ইলহান ওমর একটি রেজোলিউশন পেশ করেছেন যা মার্কিন বিদেশন্ত্রীকে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের অভিযোগে ভারতকে বিশেষ উদ্বেগের দেশ হিসাবে মনোনীত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন ।কংগ্রেসপার্সন রাশিদা তালিব, জুয়ান ভার্গাস এবং জিম ম্যাকগভর্ন দ্বারা সহ-স্পন্সর করা, রেজোলিউশনটি বাইডেন প্রশাসনকে আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত ইউএস কমিশনের সুপারিশগুলি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে যা পরপর তিন বছর ধরে ভারতকে বিশেষ উদ্বেগের দেশ হিসাবে মনোনীত করার আহ্বান জানিয়েছিল । এর আগে একই বছরের ২০ এপ্রিল চারদিনের পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য ইলহান ওমর। তার আগে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন মার্কিন ‘হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভস’-এর সদস্য ইলহান। সেই সঙ্গে তিনি চলে যান পাকিস্তানের দখলে থাকা ভারতীয় ভূখণ্ড অর্থাৎ পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (POK)। শুধু যাওয়াই নয়, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়ে ইলহান বলেছিলেন,’আমার মনে হয় কাশ্মীর নিয়ে যতটা আলোচনা হওয়া উচিত, মার্কিন কংগ্রেসে ততটা হচ্ছে না।’ যা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। আর সেই ক্ষোভ প্রশমন করতে আসরে নামতে হয় মার্কিন বিদেশমন্ত্রককে । ভারতের ক্ষোভ সামাল দিতে মার্কিন বিদেশ সচিবের তরফে জানানো হল, ইলহান ওমরের কাশ্মীর সফর একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত এবং বেসরকারি। এহেন এক বিতর্কিত এবং ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সমর্থক ইসলামি কট্টরপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী একজন মার্কিন মহিলার সঙ্গে রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠতায় কংগ্রেসের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে ।।