প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১০ সেপ্টেম্বর : ব্যাঙ্কে টাকা জমা রেখেও মিলছে না নিশ্চয়তা । বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার বর্ধমান পৌরসভার অ্যাকাউন্ট থেকেও গায়েব হয়ে গেল এক কোটিরও বেশী টাকা। যা জেনে কার্যত মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে বর্ধমান পৌরসভা কর্তৃপক্ষের। ঘটনা বিষয়ে পৌর সভার পক্ষ থেকে রবিবার বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার আমন দীপ জানিয়েছেন,থানায় অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
বর্ধমান পুরসভা কর্তৃপক্ষের করা অভিযোগ অনুযায়ী, পৌরসভার পাশেই একটি রাষ্টায়াত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় বর্ধমান পুরসভার অ্যাকাউন্ট রয়েছে। রবিবার পুরসভা কর্তৃপক্ষ জানতে পারেন,তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে শনিবার ১ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে।তার পর আর এক মুহুর্ত দেরি না করে এদিনই পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এবিষয়ে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সুদীপ্ত ঘোষ বলেন,আমাদের শাখাতেই পৌরসভার অ্যাকাউন্ট আছে।সেখান থেকেই টাকা উঠেছে। গোটা বিষয়টি হয়েছে মুম্বাই থেকে।তার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে ক্লোন করে টাকা তোলা হয়েছে।
সরকারি প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনা এই প্রথম বর্ধমান পৌরসভার ক্ষেত্রেই ঘটলো এমনটা নয় । এর আগে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়।সেই ঘটনায় তদন্ত এখনও চলছে। কাটা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের বেশ কয়েকজন গ্রেফতারও হয়েছে । পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,যে দুটি চেক ব্যবহার করে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে সেই চেক দুটি পৌরসভাতেই আছে।অথচ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উঠে গেছে । বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার বলেন,আমরা থানায় অভিযোগ করেছি।পুলিশ তদন্ত করছে। আমাদের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা গায়েব হয়ে গেছে। এই ঘটনায় আমাদের কোন দোষ নেই।যা হয়েছে সেটা ব্যাঙ্কের শাখা থেকে। পৌরসভার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার সময় এফও এবং ইও-এর স্বাক্ষর থাকে। ফাইন্যান্স অফিসার ও এক্সিকিউটিভ অফিসারের স্বাক্ষর থাকে চেকে। এখানে চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যানের সই থাকে না।ব্যাঙ্ক ঠিক মত স্বাক্ষর না মিলিয়ে টাকা দিয়েছে।তাই ঘটনার দায় ব্যাঙ্কেরই। ভুলভাল ভাবে ব্যাঙ্ক টাকা দিয়েছে ।।