এইদিন ওয়েবডেস্ক,দক্ষিণ আফ্রিকা,০৭ সেপ্টেম্বর : দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জ্যাকব জুমার (Jacob Zuma) ২১ বছর বয়সী কন্যা নোমসেবো জুমা (Nomcebo Zuma) খবরে রয়েছেন। ২০০৯ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে দেশটির চতুর্থ রাষ্ট্রপতি থাকা জুমার কন্যা আফ্রিকান দেশ পুরনো সোয়াজিল্যান্ড (Swaziland) বর্তমানের এসওয়াতিনির (Eswatini) রাজা এমস্বাতি তৃতীয়ের (Mswati III) ১৬ তম স্ত্রী হলেন । জুমার মেয়ে ও এস্বাতিনির রাজার প্রেম বিবাহ হল । সোমবার রাতে একটি ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানের পর আনুষ্ঠানিকভাবে তারা পতি-পত্নী হন ।
দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে , নোমসেবো ২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত রিড নৃত্যে (ঐতিহ্যগত নৃত্য অনুষ্ঠান) লিফোভেলা হিসাবে উপস্থিত হয়েছিল। লিফোভেলা মানে এসওয়াতিনি ভাষায় ‘রাজকীয় বাগদত্তা’। ১৬ তম বারের মতো রাজকীয় বাগদত্তা হয়েছেন নোমসেবো ।
রিড নাচ হল একটি ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান যা বেশ কয়েক দিন স্থায়ী হয়, যেখানে মহিলারা তাদের নারীত্ব প্রকাশ করে। এতে তরুণীরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরেন। এতে তার শরীরের উপরের অংশে কোনো কাপড় নেই। তারা নাচে এবং গান গায়। কিছু মহিলা নকল তলোয়ার ও ঢাল নিয়েও নৃত্য প্রদর্শন করে ।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে এই ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানটি উমহলাঙ্গা নামেও পরিচিত। এটিকে এস্বাতিনীতে “সুন্দর” সংস্কৃতির একটি উদাহরণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
এই প্রথমবার নয় যে রাজা এমস্বাতি উমহলাঙ্গায় তার অপ্রাপ্তবয়স্ক কনে ঘোষণা করেছেন। কয়েক ডজন সন্তানের জনক রাজা এমস্বাতি, ১৭ বছর বয়সী ফিন্ডিলে এনকাম্বুলেকে ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে একটি রিড ড্যান্সে তার ১৩ তম বাগদত্তা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। বিবিসি সে সময় জানিয়েছিল যে একটি ঐতিহ্যবাহী নৃত্য অনুষ্ঠানে ফিন্ডিলে রাজার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। এর কয়েকদিন আগে ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন রাজা। এইচআইভি-এইডসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছিল।
বিবিসি জানায়, ২০০১ সালে নিষেধাজ্ঞা আরোপের দুই মাস পর,১৭ বছর বয়সী একটি মেয়েকে তার নবম স্ত্রী বানিয়ে নিজের নিয়ম ভেঙেছিলেন এমস্বাতি তৃতীয় । এর পরে তিনি নিজের উপর একটি গরুর জরিমানা আরোপ করেন। শুধু তাই নয়,২০০৩ সালে, ১৮ বছর বয়সী জেনা মাহলাঙ্গুকে তার ১০ তম স্ত্রী করেছিলেন এমস্বাতি । জেনার মা লিন্ডিওয়ে ডলামিনি অভিযোগ করেছিলেন যে জেনা মাহলাঙ্গু যখন তার এ-লেভেল পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন তাকে অপহরণ করা হয়েছিল। লিন্ডিওয়ে তার মেয়েকে ফিরে পাওয়ার জন্য একটি ব্যর্থ আইনি লড়াইও করেছিলেন।।