এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,০৫ সেপ্টেম্বর : বাংলাদেশে একজন হিন্দু কিশোরকে নির্মমভাবে পিটিয়ে খুন করল সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জামাতের জঙ্গিরা । নিদারুন কষ্ট দিয়ে প্রাণে মারা হয় ওই নাবালককে । কিশোরের রক্তে ভেজা জামাকাপড় নিয়ে উল্লাস পর্যন্ত করে জামাতের নরপশুর সন্ত্রাসীদের দল। আর এই নৃশংস বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড দাঁড়িয়ে দেখল বাংলাদেশের পুলিশ ও সেনাবাহিনী । খুনের পর পাশের মসজিদের লাউডস্পিকার থেকে ঘোষণা করে কিশোরের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয় । ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে বাংলাদেশের খুলনা জেলায় । হতভাগ্য ওই হিন্দু কিশোরের নাম উৎসব মন্ডল(১৫) ।
মুসলমানদের নবীকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করার অভিযোগ তোলা হয়েছে ওই হিন্দু কিশোরের বিরুদ্ধে । তাকে গ্রেফতার করে থানাতেও আনা হয়েছিল । কিন্তু সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জামাত-ই-ইসলামির জঙ্গিদের কথায় ভরসা করে পুলিশ ওই নাবালককে জঙ্গিদের হাতেই তুলে দেয় । নির্মমভাবে হত্যার আগে থানায় পুলিশ অফিসার ও সন্ত্রাসীদের মাঝে অসহায় অবস্থায় দেখা গেছে উৎসব মন্ডলকে । জনৈক এক সন্ত্রাসবাদী পুলিশকে অনুরোধ করে, ‘স্যার, দয়া করে ওকে আমাদের কাছে ১০ মিনিটের জন্য দিন । আমরা আপনাকে আশ্বাস দিচ্ছি যে সে নিরাপদ থাকবে। আমরা শুধু তাকে জুতার মালা দিতে চাই এবং আমরা চাই সে আমাদের কাছে ক্ষমা চাইবে ।’ প্রথমে পুলিশ কর্মকর্তা অনুমতি দেয়নি। কিন্তু পরে পুলিশ কিশোরকে জামাতের সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেয়৷ এরপর সন্ত্রাসীরা ওই অসহায় হিন্দু কিশোরকে থানার বাইরে নিয়ে এসে নির্মমভাবে পিটিয়ে খুন করে । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া বেশ কিছু ভিডিওতে দেখা গেছে, রক্তাক্ত কিশোর রাস্তায় শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে । তখন সন্ত্রাসীরা উল্লাস করতে করতে কিশোরের ভিডিও করছে । পরে কিশোরের মৃত্যু হলে তার রক্তাক্ত পোশাক খুলে নারকীয় উল্লাসে মেতে ওঠে জামাতের নরপশু সন্ত্রাসবাদীরা ।
এদিকে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার পুরো চেষ্টা চালিয়ে যায় বাংলাদেশের মৌলবাদী মিডিয়া । মিডিয়ায় প্রচার করা হয় যে ওই হতভাগ্য হিন্দু কিশোর জীবিত আছে । কিন্তু খোদ খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন যে উৎসব মন্ডল মারা গেছেন। মসজিদ থেকেও ঘোষণা করেছে যে উৎসব মন্ডল মারা গেছে। যে ইসলামপন্থীরা তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, তারাও স্বীকার করেছে যে সে মারা গেছে। অথচ এখন বাংলাদেশের কিছু সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জামাত নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া হাউস বলছে উৎসব মন্ডল বেঁচে আছে । এদিকে এই ঘটনায় ভারতে বাংলাদেশি মুসলিমদের বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণার সৃষ্টি হয়েছে । পাশাপাশি তারা বাংলাদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ।।