এইদিন ওয়েবডেস্ক,০৩ আগস্ট : আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তরুনী চিকিৎসকের ধর্ষণ বা গনধর্ষণের পর নৃশংস বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এমনিতেই ব্যাকফুটে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস । তার মাঝেই একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন তৃণমূলের মন্ত্রী-বিধায়ক-নেতারা । কারোর বিরুদ্ধে উঠছে মহিলাদের নিয়ে কটুক্তির অভিযোগ । কেউ আরজি করের ন্যায় বিচারের দাবিতে প্রতিবাদীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত । এবারে পুরুলিয়ার নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক কানাই চন্দ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে অন্যের টিকিট নিয়ে ডাউন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে ভ্রমণের অভিযোগ উঠল । ট্রেনের টিকিট পরীক্ষকের হাতে ধরা পড়তেই তাকে হুমকি পর্যন্ত দেওয়া অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে ।
ট্রেনের কামরায় টিকিট পরীক্ষক ও সহযাত্রীদের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়কের বচসায় জড়িয়ে পড়ার মুহুর্তের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল । যদিও ওই ভিডিও-এর সত্যতা যাচাই করেনি এইদিন । অগ্নিমিত্রা পাল লিখেছেন,’আজ নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক কানাই চন্দ্র মণ্ডল ডাউন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে এক দৃশ্য প্রদর্শন করলেন। আবার দেখালেন যে কীভাবে কিছু নেতা বিশ্বাস করেন যে তারা আইনের ঊর্ধ্বে। দু’জন অতিরিক্ত লোকের সাথে ভ্রমণের সময় যাদের মধ্যে একজন একটি টিকিট বহন করছিলেন যা তাদের নিজস্ব ছিল না, বিধায়ক মন্ডল অধ্যবসায়ী টিকিট পরিদর্শক (টিটি) এর মুখোমুখি হয়েছিলেন যিনি সন্দেহজনকভাবে এই ব্যবস্থাকে যথাযথভাবে প্রশ্ন করেছিলেন। ইস্যুটি মোকাবেলা করার বা নিয়মের প্রতি কোনো সম্মান দেখানোর পরিবর্তে, বিধায়ক টিটি-কে ভয় দেখানো শুরু করেন। এই ধরনের উচশৃঙ্খল আচরণ এবং ক্ষমতার নির্লজ্জ অপব্যবহারে ক্লান্ত হয়ে তারা টিটির সমর্থনে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছে। তারা স্পষ্ট করে বলেছে যে শুধুমাত্র একজনের বিধায়ক পদ থাকার মানে এর অর্থ এই নয় যে তারা নিয়ম লঙ্ঘন করতে পারে বা তাদের ধমক দিতে পারে। এই ঘটনাটি ঔদ্ধত্যের একটি সুস্পষ্ট উদাহরণ যা সমস্ত তৃণমূল নেতারা প্রদর্শন করেন, তারা মনে করেন যে তারা তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী আইনকে নিজের হাতে নিতে পারেন। বিধায়কের হুমকির বিরুদ্ধে যাত্রীদের সাহসী অবস্থান একটি দৃঢ় বার্তা পাঠিয়েছে। জনগণ এই ধরনের আচরণ আর সহ্য করবে না।সময় এসেছে তৃণমূলের আয়নায় মুখ দেখা।’।