এইদিন বিনোদনডেস্ক,০৩ সেপ্টেম্বর : ‘ভারত বিদ্বেষী’ তথা সন্ত্রাসবাদের প্রতি সহানুভূতিশীল জাহিদ অন্তু(Zahid Antu) নামে এক বাংলাদেশি গায়ককে “ইন্ডিয়ান আইডল” থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে । ‘ইন্ডিয়ান আইডল’ প্রতিযোগিতার বাছাইপর্বে অংশ নিয়ে অন্তু দুই ধাপ পারও হন। গত ১৮ আগস্ট দুই ধাপের বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। একই দিনে তৃতীয় ধাপের বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও ফলাফল গত রবিবার দুপুরের আগে জানানো হয়নি । এদিকে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাহিদ অন্তু নামে ওই বাংলাদেশি গায়কের একাধিক ফেসবুক পোস্টের স্ক্রীন শর্ট শেয়ার করে তাকে ইন্ডিয়ান আইডলে অংশগ্রণের সূযোগ করে দেওয়ায় কর্তৃপক্ষের তীব্র সমালোচনা শুরু করেন ভারতীয় নেটিজেনরা । ওই বাংলাদেশির পোস্টগুলির ছত্রে ছত্রে ছিল ভারতের প্রতি বিদ্বেষমূলক কথাবার্তা ও ইসলামি সন্ত্রাসবাদের প্রতি সহানুভূতির ইঙ্গিত । শেষ পর্যন্ত ২৮ আগস্ট আয়োজক কর্তৃপক্ষ দুপুরের পর ওই গায়ককে ফোন করে জানায় যে তৃতীয় ধাপে তিনি বাদ পড়েছেন ।
ইন্ডিয়ান আইডল থেকে বাদ পরার কথা নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন ওই বাংলাদেশি গায়ক । তিনি বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেছেন,‘কিছু সমস্যা হয়েছে । “ইন্ডিয়ান আইডল” তো, আমি বাংলাদেশি, কেনই–বা আমাকে অনুমতি দিয়েছিল সেটাই বুঝিনি।’ কোন ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল—জানতে চাইলে অন্তু বলেন, ‘আমি কিন্তু বাংলাদেশের ঠিকানাই দিয়েছি। দুই পর্বে উত্তীর্ণ হয়েছি। পরে কল করে জানানো হয়, আমি বাদ পড়েছি।’
অন্তু জানালেন, কলকাতায় ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হয় পি বি একাডেমিক স্কুল মিলনায়তনে। ১৮ আগস্ট বাছাইপর্বে অংশ নেন তিনি। প্রথম রাউন্ডে ৭০০-৮০০ জন প্রতিযোগী ছিল। দ্বিতীয় রাউন্ডে ১২০-১৩০ জন প্রতিযোগী। তৃতীয় রাউন্ডে ৩০-৪০ জনকে রাখার কথা ছিল।
অন্তু বলেন, ‘তৃতীয় রাউন্ডে সব থেকে ভালো পারফর্ম করার পরও আমাকে রাখা হয়নি। কেন জানি না। “না” বলে দেওয়ার পর আমরা সবাই ওখানকার অডিশন থেকে চলে আসি। বাংলাদেশ থেকে আরেকজন অংশ নিয়েছিল, প্রথম রাউন্ডে বাদ পড়ে, সে ইয়াং স্টারেও নাম লিখিয়েছিল, এখানেও প্রথম রাউন্ডে বাদ পড়ে।’
ইন্ডিয়ান আইডল’ তো ভারতীয় নাগরিক যাঁরা, তাঁদের জন্য; কিন্তু আপনি কীভাবে অংশ নিলেন? এমন প্রশ্নে জাহিদ অন্তু বলেন, ‘অডিশনের দিন এক থেকে দেড় ঘণ্টা মিলনায়তনের বাইরে দাঁড়িয়েছিলাম। তারপর কর্তৃপক্ষ বলেছে, আপনারা বাছাইপর্বে অংশ নিতে পারবেন। তাদের কাছ থেকে অনুমতি পেয়েই আমরা অংশগ্রহণ করি।’
এদিকে ওই বাংলাদেশি তরুন গায়কের বাদ পড়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া সামনে আসছে । ঝুমন দাস নামে এক বাংলাদেশি তার ওয়ালে লিখেছেন,’জাহিদ অন্তু, উনি বাংলাদেশের একজন উদীয়মান গায়ক। যিনি ইতিহাসে প্রথম কোনো বাংলাদেশি হিসাবে ইন্ডিয়ান আইডলে সুযোগ পেয়েছিলেন। এবং ইন্ডিয়ার ৮০০ জন প্রতিযোগিকে পেছনে ফেলে সেরা ৪০ এ ডুকে গিয়েছিলেন। ইন্ডিয়ান আইডল উনাকে কনফার্ম করেছিল।
কিন্তু গতকাল ইন্ডিয়ান আইডলকে জানানো হল যে উনি চরম লেভেলের ভারত বিদ্বেষী।তাই ভারত উনাকে ইন্ডিয়ান আইডল থেকে আজ বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে।আমার প্রশ্ন হল,ভাই আপনি অনেক বড় মেধাবী। অডিশন সহ অনেক প্রসেসিং প্রায় দুই মাস ধরে করে আসছেন,আপনার স্বপ্ন ইন্ডিয়ায় পূর্ণতা পাবে এটা মনে মনে রেখে ফেইসবুকে ভারত বিদ্বেষী পোস্ট দেয়ার কি দরকার ছিল? আপনি ভারত বিদ্বেষী,সেটা মনে মনে রাখেন। প্রকাশ করে আবেগ দেখাইতে গেলেন কেন? নাকি আপনি ভূলে গেছিলেন ভারত আর ইন্ডিয়া আলাদা রাষ্ট্র । ধরুন আমি পাকিস্তান বিরোধী, এখন পাকিস্তানে আমার ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি থাকলে আমি কি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কথা বলব? এত আবুল হয়ে ইন্ডিয়ান আইডলে আপনি চান্স পেলেন কি ভাবে,এটাই আমার মাথায় আসছে না। নোবেলের মত প্রতিযোগিতাটা শেষ করে গ্রামে এসে ভারত বিদ্বেষী পোস্ট দিতে পারলেন না! ক্যারিয়ারটা খেয়ে দিলেন। নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারলেন।’।