এইদিন ওয়েবডেস্ক,হরিয়ানা,৩১ আগস্ট : হরিয়ানার চরখি দাদরিতে গরুর মাংস খাওয়ার অভিযোগে এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, অপর একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই ঘটনায় পুলিশ ৭ জনের নাম উল্লেখ করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৫ অভিযুক্তকে। অভিযুক্ত দুইজন নাবালক বলে জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা একটি গোরক্ষা গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে ।
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৭ আগস্ট। মৃত ব্যক্তির নাম সাবির মালিক । তার বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগণা জেলায় । পুলিশের দায়ের করা এফআইআর অনুসারে, গত ২৭ শে আগস্ট সকালে, কিছু যুবক বাধরা গ্রামের কাছে একটি বস্তিতে বসবাসকারী স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ী সাবিরের কাছে আসে। অভিযুক্তরা তাকে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যায় এই বলে যে তাদের কাছে কিছু ভাঙাচোরা রয়েছে সেগুলি তারা বিক্রি করতে চায় । আসামের বাসিন্দা আছিরুদ্দিন নামে আর এক শ্রমিককেও বাসস্ট্যান্ডে ডেকেছিল অভিযুক্তরা। আর এর পরেই দুই শ্রমিককে মারধর শুরু করেন বলে অভিযোগ। এ সময় পথচারীরা বাধা দিলে আসামিরা উভয় শ্রমিককে মোটরসাইকেলে করে অন্য কোনো স্থানে নিয়ে যায় ।
খবরে বলা হয়েছে, সাবিরকে পরে ভান্ডওয়া গ্রামের একটি খালের কাছে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। অপরদিকে আসারুদ্দিনকে আহত অবস্থায় পাওয়া গেছে। হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ বলছে অভিযুক্তরা একটি গো-তত্ত্বাবধায়ক দলের সদস্য এবং তারা গরুর মাংস খাওয়ার সন্দেহে কর্মীদের মারধর করেছে। অভিযুক্তদের নাম অভিষেক, রবিন্দর, মোহিত, কমলজিৎ এবং সাহিল। ভারতীয় জাস্টিস কোড (বিএনএস) এর প্রাসঙ্গিক বিধানের অধীনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।
এর আগে ২০২৪ সালে, হরিয়ানার ভিওয়ানি জেলার লোহারুতে একই রকম একটি ঘটনা সামনে এসেছিল। রাজস্থানের ভরতপুর জেলার নাসির এবং জুনায়েদ নামে দুই মুসলিম যুবককে একটি গাড়িতে অপহরণ করে লোহারুতে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। একটি পোড়া গাড়ি থেকে দুজনেরই পোড়া লাশ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।।