এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২৯ আগস্ট : বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক করতে যাওয়ার কথা বলে দু’দিন আগে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার হল পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার গঙ্গা নদী থেকে । মৃতের নাম রাজু ঘোষ (৩৫)। কেতুগ্রাম থানার নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই যুববের মৃতদেহটি বৃহস্পতিবার সকাল দশটা নাগাদ কাটোয়ায় গঙ্গা নদীর শাঁখাই ঘাট থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ । যুবকের দেহটি এতটাই বিকৃত হয়ে গিয়েছিল তাকে চিহ্নিত করা অসম্ভব হয়ে যায় । পরে পরিবারের লোকজন এসে তার পোশাক দেখে চিহ্নিত করে । পরিবারের সন্দেহ যুবককে খুন করে নদীর জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে । যদিও এনিয়ে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানা গেছে । শুক্রবার পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাবে । পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে । পুলিশ একটা অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পরিবার সূত্রে খবর,মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন রাজু ঘোষ । তারপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি । মৃতের ভাইপো কর্ণ ঘোষ জানান,সোমবার রাতে পাশের বিষ্টুপুর গ্রামের বাসিন্দা তার কাকার এক বন্ধুর ফোন আসে । কাকার বন্ধু জানায় যে মঙ্গলবার পিকনিক আছে এবং সে কাকাকে যাওয়ার জন্য বলে ।
সেই মত মঙ্গলবার বিকেলে কাকা বিষ্টুপুর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন । কিন্তু কাকা রাতে বাড়ি ফেরেনি । পরের দিন বুধবার সকাল থেকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয় । কিন্তু অনেক খোঁজার পরেই কাকার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে তারা কেতুগ্রাম থানায় একটা নিখোঁজ ডাইরি করেছিলেন । আজ পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে কাটোয়া থানায় গিয়ে কাকার পোশাক দেখে তাকে চিহ্নিত করেন বলে জানান তিনি। কাকাকে খুন করে নদীর জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ।
জানা গেছে,আজ সকালে কাটোয়ার শাঁখাই ঘাটে ভাগীরথী নদীতে একটা দেহ ভাসতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা । তারা কাটোয়া থানায় খবর দেয় । পরে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে থানায় আনে । কাটোয়া থানার পুলিশ মৃতদেহের ছবি বিভিন্ন থানায় পাঠিয়ে দেয় । শেষে কেতুগ্রাম থানায় দায়ের হওয়া নিখোঁজ ডাইরির ভিত্তিতে মৃত রাজু ঘোষের বাড়িতে খবর দেয় পুলিশ । জানা গেছে,রাজু ঘোষ পেশায় কৃষক। তিন ভাইয়ের মধ্যে ছোট। বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে। স্বামীর মৃত্যুর পর তিন নাবালক সন্তানদের নিয়ে কার্যত পথে বসেছেন রাজুর স্ত্রী ।।