এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৯ আগস্ট : আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তরুনী চিকিৎসকের নৃশংস বর্বরোচিত ধর্ষণ বা গনধর্ষণেরপর হত্যার স্মৃতি এখনো টাটকা হয়ে আছে জনমানসে। এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের একজন সিভিক ভলান্টিয়ার গ্রেফতার হলেও মৃতার বাবা-মায়ের সন্দেহ ঘটনায় আরও অনেকে যুক্ত আছে । অভিযোগ উঠছে যে অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ও কলকাতা পুলিশ । কলকাতা পুলিশ ও আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের মত গুরুতর অভিযোগও উঠছে । মৃতার বাবা-মায়ের অভিযোগ তুলেছেন যে তাদের মেয়ের দেহ সৎকার দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করে দিয়েছিল পুলিশ । যাতে পুলিশ ও রাজ্যের শাসকদলের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে ।
সাম্প্রতিক কয়েকদিন ধরে তরুনী চিকিৎসকের শবদাহের শংসাপত্র ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে । যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি এইদিন । উত্তর ২৪ পরগণা জেলার ঘোলা থানার অন্তর্গত পানিহাটি পৌরসভার শবদাহ ঘাট থেকে গত ৯ আগস্টের ওই শংসাপত্রে মৃতার বাবা-মা বা কোনো আত্মীয়ের স্বাক্ষর নেই । যা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে । রাজ্য বিজেপির নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল নিজের ফেসবুক পেজে ওই শংসাপত্র পোস্ট করে লিখেছেন, ‘এই নথিটি হল “অভয়ার” শবদাহের শংসাপত্র। এটিতে একমাত্র স্বাক্ষরটি হল প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলর সঞ্জীব মুখার্জী, যিনি তৃণমূল বিধায়কের খুব ঘনিষ্ঠ।কিন্তুু,নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের কোনও স্বাক্ষর নেই৷ কেন? কারণ অপরাধের কোনো প্রমাণ নষ্ট করতে তৃণমূল তার শেষকৃত্য করার তাড়াহুড়ো করেছিল। অন্য স্বাক্ষরটি সোমনাথ দে-এর যিনি এখন পানিহাটি এলাকার তৃণমূলের বর্তমান কাউন্সিলর।’
তিনি আরও লিখেছেন,’যদিও শংসাপত্রে মৃত্যুর সময় ১২.৪৪ বলা হয়েছে, সেখানে ইঙ্গিত রয়েছে যে তার মৃত্যু সম্ভবত ৩.০০ থেকে ৪.০০ এর মধ্যে ঘটেছে।এতো দ্রুততার সাথে মৃতদেহ দাহ করার প্রক্রিয়া সত্যকে আড়াল করার চেষ্টা।দোষীদের সাজা দেওয়ার পরিবর্তে তাদেরকে আড়াল করছে মমতা ব্যানার্জী ও তার পুলিশ প্রশাসন । ধিক্কার !’