এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৮ আগস্ট : আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তরুনী চিকিৎসকে নৃশংস ধর্ষণ বা গনধর্ষণের পর হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর থেকেই প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের দিকে আঙুল উঠছিল । এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি,সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা ও কলকাতা পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠছে । এবারে সন্দীপের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) ডিসিপ্লিনারি কমিটি। আজ বুধবার(২৮ আগস্ট ২০২৪) ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন থেকে বরখাস্ত করে দেওয়া হয়েছে ।
আইএমএ-এর সাধারণ সম্পাদক ডাঃ অনিলকুমার জে নায়ক স্বাক্ষরিত ওই সাসপেন্স অর্ডারে বলা হয়েছে,’জাতীয় সভাপতি ডঃ আর ভি আসোকান দ্বারা যথাযথভাবে গঠিত শৃঙ্খলা কমিটি আজ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজের একজন স্নাতকোত্তর চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যা এবং পরবর্তী উন্নয়নগুলি বিবেচনা করে। জাতীয় সভাপতির সাথে নিম্নস্বাক্ষরকারীরা নির্যাতিতার বাড়িতে তার বাবা-মায়ের সাথেও দেখা করেছিলেন। তারা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আপনার বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ তুলেছিল, সেইসাথে তাদের সাথে আপনার আচরণের ক্ষেত্রে আপনার দ্বারা অর্পিত দায়িত্বের উপযুক্ত পদ্ধতিতে সমস্যাটি পরিচালনা করার ক্ষেত্রে সহানুভূতি এবং সংবেদনশীলতার অভাবের কথা বলেছেন তারা । আইএমএ বেঙ্গল রাজ্য শাখার পাশাপাশি চিকিৎসকদের কিছু সংগঠনও আপনার দ্বারা সামগ্রিকভাবে পেশার প্রতি অসম্মানের কারণ দেখিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। আইএমএ সদর দফতরের শৃঙ্খলা কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে আপনাকে ভারতীয় মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যপদ থেকে অবিলম্বে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
প্রাথমিকভাবে কলকাতা পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করলেও হাইকোর্টের নির্দেশে পরবর্তীতে সিবিআই (CBI) ঘটনার তদন্তভার নেয়। এরপর থেকে এখন প্রায় প্রতিদিনই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে হচ্ছে সন্দীপকে । সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মাঝেই সন্দীপকে সাসপেন্ড করে ন্যাশনাল অর্থোপেডিক অ্যাসোসিয়েশন ।।