এইদিন ওয়েবডেস্ক,ছিন্দওয়ারা(মধ্যপ্রদেশ),২৬ আগস্ট : মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা জেলায় এক হিন্দু মহিলাকে ধর্ষণকারী অভিযুক্তের বাড়িটি স্থানীয় প্রশাসন বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে । অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অবধেশ প্রতাপ সিং বলেছেন যে অভিযুক্ত মহম্মদ নাফিসের বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে।তিনি বলেন, গত ১১ আগস্ট ৩৪ বছর বয়সী এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।অভিযুক্ত নির্যাতিতার আপত্তিকর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয় এবং হুমকি দেয় । চৌরাইয়ের সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট প্রভাত মিশ্র বলেন, সরকারি জমিতে তার বাড়ি বেআইনিভাবে থাকার অভিযোগ পাওয়া যায় ।তদন্তে জানা যায়, সরকারি জমির এক হাজার ৮০ বর্গফুট জমিতে অবৈধভাবে বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছে এবং অভিযুক্তকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশের কোনো সাড়া না পাওয়ায় অবৈধ ভবনটি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়ে জায়গাটি খালি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, ছিন্দওয়ারা জেলার চাঁদ সাবতেহসিলের অন্তর্গত লালগাঁও গ্রামের এক বিবাহিত হিন্দু মহিলাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে পার্শ্ববর্তী মেঘদন এলাকার বাসিন্দা সফিক মনসুরির ছেলে মহম্মদ নাফিস ওরফে ভিকি । মহিলার অশ্লীল ভিডিও সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় । এই ঘটনায় মহিলার পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করলে নাফিসকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠায় পুলিশ । কিন্তু বিষয়টি ‘লাভ জিহাদ’ হিসাবে দাবি করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আরও কঠোর শাস্তির দাবি ওঠে । মহিলার পরিবারের অভিযোগ যে তাদের মেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে মহম্মদ নাফিসের উদ্দেশ্য বুঝতে না পেরে তার প্রেমের ফাঁদে পড়ে গিয়েছিল । যাই হোক,শেষ পর্যন্ত দাবি মেনে কঠোর পদক্ষেপ নেয় মধ্যপ্রদেশ সরকার । চাঁদ উপ-তহসিলের লালগাঁওয়ে, সরকারী জমি দখল করে তৈরি তাদের বাড়িটি প্রশাসন বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিয়েছে।
ছিন্দওয়ারার বিজেপি নেতা সন্দীপ রঘুবংশীর মতে, মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পরে, শনিবার জেলা প্রশাসন বুলডোজারের পদক্ষেপ দেখেছিল। তবে ঘটনাটি কিছু দিনের পুরনো এবং ধর্ষণের আসামি কারাগারে রয়েছে। প্রশাসনের জানিয়েছে, সরকারি জমি দখল করে ওই বাড়িটি অভিযুক্তরা তৈরি করেছিল, যা শনিবার ভেঙে ফেলা হয়েছে ।।