এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৪ আগস্ট : কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তরুনী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের মামলায় রাজ্য সরকারের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল-জবাব করছেন এক সময়ের কংগ্রেসের নেতা তথা বর্তমানের সমাজবাদী পার্টির সাংসদ কপিল সিব্বাল । এই মামলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষে রয়েছে ২১ জন বরিষ্ঠ আইনজীবী । কিন্তু আরজি করের মত নৃশংস বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন নেটিজেনরা । এইকারনে তারা সিব্বালের প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করছেন । এমনকি তাকে ‘কলিযুগের আসল রাবন’ বলেও অবিহিত করা হয়েছে । এমনকি কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী পর্যন্ত সিব্বালকে এই মামলা থেকে সরে আসার জন্য আবেদন জানিয়েছেন । এবারে সিব্বালের বিরুদ্ধে সরব হলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সংগঠনের একটা বড় অংশ । তারা সুপ্রিম কোর্টের ‘বার অ্যাসোসিয়েশনে’র সভাপতির পদ থেকে কপিল সিব্বালের অপসারণের দাবি তুলেছেন ।
আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র রোষের মুখে পড়ে সুপ্রিম কোর্টের ‘বার অ্যাসোসিয়েশনে’র বর্তমান সভাপতি কপিল সিব্বাল সংগঠনের অফিসিয়াল প্যাডে একটা বিবৃতি জারি করে নিন্দা প্রকাশ করেন । কিন্তু অত্যন্ত সুচতুরভাবে আরজি কর চিকিৎসক ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডকে তিনি লঘু করে দেখানোর অভিযোগ ওঠে সিব্বালের বিরুদ্ধে । তিনি আরজি করের ঘটনার নিন্দা তো করেন,কিন্তু গোটা দেশের নারী নির্যাতন বন্ধের দাবি তুলে বিষয়টি লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করেন । গত বুধবার(২১ আগস্ট ২০২৪) সংগঠনের লেটার হেডে জারি করা রেজোলিউশনে লেখা হয়,’আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে যা ঘটেছে তা অসুস্থতার লক্ষণ। এখন, তদন্তটি সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, আমরা বিশ্বাস করি যে ন্যায়বিচার হবে এবং অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। এসসিবিএ আদালতের উদ্বেগের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে এবং আশা করে এবং প্রার্থনা করে যে সারাদেশে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে ।’
এদিকে সংগঠনের এক্সিকিউটিভ কমিটির অনান্য আইনজীবীদের অভিযোগ, কারোর সাথে কোনো আলোচনা না করেই একতরফা ওই বিবৃতি জারি করেছে কপিল সিব্বাল । পাশাপাশি তারা আরজি করের ঘটনাকে লঘু করে দেখানোর অভিযোগও তুলেছেন সিব্বালের বিরুদ্ধে । বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি তথা বিশিষ্ট আইনজীবী ডঃ আদিশ সি আগরওয়াল চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন,’৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিবৃতি প্রত্যাহার করতে হবে ও বারের সব সদস্যের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে কপিল সিব্বলকে। অন্যথায় সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদে সিব্বলের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি । এখন দেখার বিষয় কপিল সিব্বাল সুপ্রিম কোর্টের ‘বার অ্যাসোসিয়েশনে’র সভাপতি হিসেবে এবার অনাস্থার মুখোমুখি হন কিনা ।।