এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৩ আগস্ট : কলকাতা হাইকোর্ট আজ শুক্রবার (২৩ আগস্ট) আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আর্থিক অনিয়মের তদন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গঠিত বিশেষ তদন্ত দল (SIT) থেকে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (CBI) এর কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তটি মেডিকেল প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট আখতার আলীর ২০২৩ সালের ১৩ জুলাইয়ের একটি পিটিশনের পরে নেওয়া হয়েছিল । যিনি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আমলে আর্থিক অনিয়মের জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তদন্ত চেয়েছিলেন । তিনি সন্দীপের বিরুদ্ধে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য পাচার, ল্যাব পরিকাঠামোয় আর্থিক দুর্নীতি, বেশি দামে অক্সিজেন যন্ত্র কেনা বা কর্মী নিয়োগ, ইউজি -পিজি কাউন্সেলিংয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন । অভিযোগটি রাজ্যের অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চের হাতে গেলেও কোনো তদন্তই হয়নি । কিন্তু সন্দীপ ঘোষকে সিবিআইয়ের জেরার মাঝেই রাজ্য সরকার ওই মামলায় তদন্তের জন্য চার পুলিশ কর্তাকে একটা সিট গঠন করে । যানিয়ে প্রশ্ন ওঠে । কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ ওই মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেন । যদিও অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ সিঙ্গেল বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন।
পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টেও আজ ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার । আগামী ২৭ আগস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ‘ছাত্র সমাজ’ নামে একটা অজ্ঞাত সংগঠন । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ডাক দেওয়া হয় । বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে বহু মানুষ এই অভিযানের পক্ষে সায় দেয় । তবে সিপিএমের তরফে অভিযানে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে বিভিন্ন মিডিয়া । বৃহস্পতিবারই আরজি কর সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে উত্থাপন করেছিলেন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বাল । প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এই অভিযানে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করেন । পাশাপাশি তিনি রাজ্যকে এই বলেও সতর্ক করে দেন যে ব্যাপক হারে গ্রেফতার করা চলবে না । এরপর কলকাতার হাইকোর্টের দারস্থ হয় রাজ্য সরকার । আজ শুক্রবার বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য ও বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয় । কিন্তু রাজ্যের দাবি অনুযায়ী নবান্ন অভিযানের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে অস্বীকার করে বেঞ্চ । চার সপ্তাহ পর আবার এই মামলার শুনানি হবে ।।