এইদিন ওয়েবডেস্ক,বোলপুর(বীরভূম),২১ আগস্ট : কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তরুনী চিকিৎসককে ধর্ষণ বা গনধর্ষণের পর নৃশংস বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের মাঝেই একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটছে পশ্চিমবঙ্গে । আর জি করের ‘তিলোত্তমা’র মত একই কায়দায় পূর্ব বর্ধমান জেলার শক্তিগড়ে এক আদিবাসী তরুনীকে গলা কেটে নৃশংসভাবে খুন করা হয় । শিলিগুড়িতেও এক আদিবাসী সামুহিক দুষ্কর্ম্মের শিকার হয়েছে । এই সমস্ত ঘটনা নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড়ের মাঝেই বীরভূম জেলার বোলপুর থানা এলাকায় এক গৃহবধূকে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে গোয়ালঘরে নিয়ে যাওয়ার পর তার শিশুপুত্রকে বস্তায় ভরে রেখে পাশবিক অত্যাচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে । বধূর উপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়েও ক্ষান্ত হয়নি ধর্ষক । নির্যাতনের পর সে বধূর যোনিতে বন্দুকের নল পর্যন্ত ঢোকায় বলে অভিযোগ উঠেছে । এদিকে নির্যাতনের পর বাড়ি ফিরে এসে বধূ অপমানে ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে । যদিও অল্পের জন্য তিনি প্রাণে বেঁচে যান । বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে কয়েকদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর এনিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা । তিনি জানিয়েছেন, বোলপুরের বাহিরী পাঁচশোয়া অঞ্চলের করিমপুর গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় তৃণমূল নেতা ফিরোজ খাঁ তার সঙ্গে এই দুষ্কর্ম করেছে । যদিও সে পলাতক । পুলিশ তাকে খুঁজছে ।
নির্যাতিতার বধূর বয়ান অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার(১৭ আগস্ট) । ওইদিন দুপুরে তিনি ৪ বছরের শিশুসন্তানকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামের একটি টিউবওয়েলে জল নিতে গিয়েছিলেন । রাস্তা সুনসান থাকার সুযোগে ফিরোজ খাঁ তাকে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে পাশের একটা গোয়ালঘরে নিয়ে যায় । সেখানে যাওয়ার তার সন্তানকে একটা বস্তার মধ্যে ভরে ফেলে ফিরোজ । এরপর সে তার উপর পাশবিক অত্যাচার চালায় । সব শেষে ফিরোজ তার তার যোনীতে বন্দুকের নল পর্যন্ত ঢোকায় বলে অভিযোগ নির্যাতিতার ।
জানা গেছে,ফিরোজ ওই বধূ ও তার ছেলেকে গোয়াল ঘরে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়৷ পরে বধূ ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন এবং অপমানে ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে । কয়েকদিন সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার পর ছাড়া পেয়ে স্বামীর সাথে সোজা বোলপুর থানায় গিয়ে অভিযুক্ত ফিরোজ খাঁয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ।
বধূর স্বামী ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন । বাড়িতে শিশুসন্তানকে নিয়ে থাকেন বধূ । আর তার একা থাকার সুযোগে ফিরোজ খাঁ বধূকে বারবার কুপ্রস্তাব দিত বলে অভিযোগ । নির্যাতিতার স্বামীর এও অভিযোগ যে ফিরোজ প্রকাশ্য রাস্তায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাপিয়ে বেড়ায় । ওই বন্দুক দেখিয়েই তাকে ও তার স্ত্রীকে সে ভয় দেখাত বলে অভিযোগ তুলেছেন নির্যাতিতার স্বামী ।।